আবহাওয়া অফিসের ভুল তথ্যে আতঙ্কিত রাজধানীবাসী

রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় শহরবাসী আতঙ্কিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ৪.৩ রিখটার স্কেল এবং উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর ভূমিকম্পের উৎস ঢাকার বাড্ডা এলাকায় অবস্থান করছে বলে বিভ্রান্তিকর বার্তা পাঠায়।
বিজ্ঞাপন
বার্তায় উল্লিখিত ২৩.৯৩° উত্তর অক্ষাংশ ও ৯০.৬১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অনুসারে, এটি আসলে নরসিংদীর কালিগঞ্জ ও ঘোড়াশালের মধ্যবর্তী এলাকা। ফলে শহরের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে পড়েন এবং দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন।

আজ শনিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের উৎস সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল হিসেবে জানিয়েছিল। পরে বিকেল ৪টার দিকে সংশোধন করে জানায়, উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্লেষণগত সমস্যার কারণে পূর্বে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে রাজধানী ও আশেপাশের অঞ্চল কেঁপে ওঠে। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় নরসিংদীতে, যেখানে পাঁচজন মারা যান। ঢাকায় চারজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন প্রাণ হারান। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেক মানুষ ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। এছাড়া কিছু ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং কিছু ভবন হেলে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ভূমিকম্পের তথ্য সঠিকভাবে এবং দ্রুতভাবে জানানো মানুষের সচেতনতা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুনরাবৃত্তি ভুল তথ্য জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
কর্তৃপক্ষকে সতর্কভাবে ও ত্বরিতভাবে তথ্য সরবরাহ করতে হবে যাতে জনগণ নিরাপদ স্থানে নিরাপদভাবে আশ্রয় নিতে পারে।







