Logo

নির্বাচন ঘিরে সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৮:০৪
6Shares
নির্বাচন ঘিরে সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে দেশের সার্বিক সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে স্পষ্ট ও কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বিজ্ঞাপন

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় তিনি এসব নির্দেশ দেন।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। একই সঙ্গে সব ধরনের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকার ধাপে ধাপে নাগরিক সেবাগুলোকে অনলাইনভিত্তিক করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব সেবা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে সাইবার সুরক্ষা জোরদার করা এখন সময়ের দাবি।

বিজ্ঞাপন

তিনি নাগরিক সেবার সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এ লক্ষ্যে সাইবার সুরক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জনবলকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও জনবলকে একটি রেটিং ব্যবস্থার আওতায় আনা যেতে পারে। এতে সাইবার সুরক্ষা সক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত মূল্যায়ন সহজ হবে।

বিজ্ঞাপন

ফিনান্সিয়াল খাতে সাইবার অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অপরাধী যেন আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে বিচার বিভাগের পাশাপাশি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ইতোমধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ‘ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব, মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি ও বিটিআরসির মধ্যে সমন্বয় জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সভায় জানান, ব্যাংকিং খাতে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। তিনি সেক্টরাল সার্ট গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

এছাড়া জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ড. মো. তৈয়বুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে এজেন্সির চলমান কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং ‘সাইবার ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম’-এর বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

উল্লেখ্য, গত ২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রণয়ন এবং সংশোধনের পর গত ২৬ আগস্ট ২৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই কাউন্সিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD