জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট

এই ঘোষণা ঢাকা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দেন হাইকমিশনার। সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিমান চলাচল, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত সহযোগিতা, এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিনিময় বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন: চাকরিচ্যুত হলেন পুলিশের ৬ কর্মকর্তা

হাইকমিশনার হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সন্ধানে ক্রিয়াশীল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে, বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞান, ন্যানোটেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে।

চিকিৎসা সেক্টরে পাকিস্তান ইতোমধ্যে লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে।

হায়দার আরও জানান, দেশটি চিকিৎসা প্রতিস্থাপন ও সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সুবিধা দেবে।

আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিল ইসি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের ক্রমবর্ধমান মিথস্ক্রিয়াকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং জনগণের মধ্যে বিনিময় বাড়ানো উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা যৌথ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারব।

সাক্ষাৎকালে এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায় পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন গতিশীলতা আসবে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে।