৮ দিনেও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৯শে মার্চ ২০২৪
৮ দিন হলো ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ কবলে পড়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে। এখনো জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তির বিষয়ে এখনো দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গেল ১৬ মার্চের পর নাবিকরাও আর যোগাযোগ করেনি। এ অবস্থায় নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে।
জিম্মি হওয়া এমভি আবদুল্লার মালিকপক্ষ কেএসআরএম’র মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, “শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে এক নাবিকের সঙ্গে আমাদের সবশেষ মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন সব নাবিক সুস্থ আছেন। তবে তাদের যে খাবার মজুত আছে তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কেননা, নাবিকদের সঙ্গে খাবার খাচ্ছে দস্যুরাও।”
তিনি আরও বলেন, “নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।”
আরও পড়ুন: নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে জলদস্যুরা
এদিকে, জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার করার জন্য বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরইমধ্যে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে, জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, “জাহাজটিতে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। জাহাজ উদ্ধারের চেয়ে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনেই এখন প্রধান লক্ষ্য। তার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।”
আরও পড়ুন: জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণ আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
এর আগে, গেল ১৪ মার্চ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। তবে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি সরকার ও মালিকপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে উঠে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
জেবি/এসবি