সিলেটের সাদাপাথর লুট: জেলা প্রশাসন ও দুদকের প্রতিবেদনে বেরিয়ে এলো ভয়াবহ তথ্য


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৩৮ এএম, ২১শে আগস্ট ২০২৫


সিলেটের সাদাপাথর লুট: জেলা প্রশাসন ও দুদকের প্রতিবেদনে বেরিয়ে এলো ভয়াবহ তথ্য
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে ৮০ শতাংশ পাথর অবৈধভাবে লুটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৫১ জন ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।


জেলা প্রশাসনের তিন সদস্যের কমিটি সাত পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মাসন সিংহ প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কমিটিকে তিনটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল- ঘটনাস্থল পরিদর্শন, দায় নিরূপণ ও সুপারিশ প্রদান।


আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌছেছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী


তদন্ত প্রতিবেদনে দশটি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন, সাদাপাথরে বিএমডির স্থায়ী অফিস স্থাপন, টাস্কফোর্সের অভিযান ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি, গাছপালা রোপণ ও সবুজায়ন কার্যক্রম এবং প্রতিটি সংস্থার নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা।


প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও পর্যটন স্থানের সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যেটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে।


আরও পড়ুন: বাপাবিপ্রস- ডিপিডিসি ইউনিটের নতুন চেয়ারম্যান আনিছুর


দুদকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশাসন ও বিজিবির উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কয়েক মাস ধরে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর লুট হয়েছে, যা স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


প্রতিবেদনে বিএনপি ও জামায়াতের বেশ কিছু নেতার নামও উঠে এসেছে। তবে এ বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপি এবং জামায়াত উভয়ই সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতির মাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।


আরও পড়ুন: ভারতে আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ


দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সা’দাৎ জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে নথি খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে প্রত্যেকের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শেষে আলাদা প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।


এএস