নেপালের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের ‘খবর ভিত্তিহীন’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যাপক দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের জেরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেলের পদত্যাগ নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায়, প্রেসিডেন্ট পাউডেল পদত্যাগ করেছেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রেসিডেন্টের দপ্তর এক বিবৃতিতে এই খবরকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে জানায়, তিনি এখনও দায়িত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পর পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো। দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ২০ জনেরও বেশি মানুষের। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী অলি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন।
গত সপ্তাহে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে মঙ্গলবার ভোরে সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
আরও পড়ুন: হাসিনার মতো পালালেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী, যা লিখেছেন পদত্যাগ পত্রে
বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর সংসদ ভবনের কিছু অংশে আগুন ধরিয়ে দেন এবং শীর্ষ নেতাদের বাড়িঘরে হামলা চালান। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী অলি, প্রেসিডেন্ট পাউডেল, নেপালি কংগ্রেসের নেতা শের বাহাদুর দেউবা এবং মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহল। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু দেউবা রানার মালিকানাধীন একটি বেসরকারি স্কুলেও আগুন দেন আন্দোলনকারীরা।
সহিংসতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় সেনাবাহিনীর ১২টি উড়োজাহাজে করে মন্ত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে ৫টি বিশেষ উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: জেন-জির ২৪ ঘণ্টার আন্দোলনে নেপালে সরকারের পতন
অরাজক পরিস্থিতির কারণে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভকারীরা ড্রোন, আতশবাজি ও লেজার লাইট দিয়ে বিমান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিলেন।
এএস