অক্টোবরে দুইশ’ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি, অমান্য করলে বহিষ্কার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী চূড়ান্তের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলীয় সূত্র জানায়, দুই শতাধিক আসনের প্রার্থী নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আসনভিত্তিক বিরোধ মিটিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রয়োজনে বহিষ্কারও।”
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে বিএনপির প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দলীয় নেতারা। প্রার্থী নির্বাচনের আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ে মাঠপর্যায়ের জরিপও সম্পন্ন হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা এমন প্রার্থী চাই, যার সঙ্গে মানুষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জনগণের ভালোবাসা ও গণভিত্তি ছাড়া কাউকে প্রার্থী করা হবে না।”
বর্তমানে প্রতিটি আসনে গড়ে ৩ থেকে ৪ জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। কোথাও কোথাও নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বও দেখা দিয়েছে। তবে এবার ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি চায় না বিএনপি। এক আসনে একাধিক মনোনয়ন দেওয়ার কারণে আগেরবার যে সমালোচনার মুখে পড়েছিল দলটি, এবার সেজন্য তারা বাড়তি সতর্ক।
বিজ্ঞাপন
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দিতে যাচ্ছি অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে। এর মধ্যেই একক প্রার্থীরা মাঠে গণসংযোগ শুরু করবেন।”
দলের শীর্ষ পর্যায় সূত্রে জানা গেছে, এবার মনোনয়ন বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন আন্দোলনে সক্রিয়, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ও জনসমর্থনপ্রাপ্ত নেতারা। তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ বাড়ানোর দিকেও নজর দিয়েছে বিএনপি।
বিজ্ঞাপন
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা, আন্দোলনে ভূমিকা ও জনগণের প্রতিক্রিয়া সবকিছু বিবেচনা করেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন সমন্বয়ের বিষয়েও কাজ করছে বিএনপি।
দলটির নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন, সহযোদ্ধাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০টি আসন উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কারা আসন ছাড় পাবে, তা চূড়ান্ত হবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর।
বিজ্ঞাপন
অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে একক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।