পিআরের সিদ্ধান্ত জনগণের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত: আমির খসরু

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
বিজ্ঞাপন
তার মতে, কমিশন বা কোনো দল একতরফাভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
শনিবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি বলেন, “যেসব দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে আছে, তাদের সঙ্গে প্রতিটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। পিআর নিয়ে গণভোট আয়োজনের দায়িত্ব জনগণ কাউকে দেয়নি। তাই এই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছেই থাকা উচিত।”
বিজ্ঞাপন
আমির খসরু আরও বলেন, “দাবি না মানলেই আলোচনা অর্থহীন, এমন ধারণা গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না। মতবিরোধ থাকলে তা সংসদে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত।”
তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহনশীলতা ও পরস্পরের মতামতকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
একই অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি মনে করেন, “নির্বাচন ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করতে পিআর পদ্ধতি চালু করা জরুরি।”
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন মত থাকা সত্ত্বেও বক্তারা একমত হন যে, একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা গঠনে জনগণের মতামতই হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ভিত্তি।