বিনা শর্তে ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শুধু ১৯৭১ সাল নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তাদের কাছে দলটির পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এই ক্ষমা চাওয়ার ঘোষণা আমরা অন্তত তিনবার দিয়েছি। প্রফেসর গোলাম আজম সাহেব দিয়েছেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব দিয়েছেন, আর আমি নিজেও দিয়েছি। সম্প্রতি এটিএম আজহারুল ইসলাম জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আমি আবারও বলেছি— শুধু ৭১ নয়, ৪৭ সাল থেকে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর দ্বারা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে বা ক্ষতি হয়ে থাকলে, আমি ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আশা করি, তারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আজ পর্যন্ত আমরা কোনো ভুল করিনি— এটা বলা সম্ভব নয়। আমরা মানুষ, আর আমাদের সংগঠনও মানুষের সংগঠন। শত সিদ্ধান্তের মধ্যে একটিতে ভুল হতে পারে, আর সেই ভুলে যদি জাতির ক্ষতি হয়, তাহলে মাফ চাইতে সমস্যা কোথায়?”
বিজ্ঞাপন
জামায়াত আমির বলেন, “আমরা যখন মাফ চাই, তখন কেউ কেউ বলেন— এই ভাষায় নয়, ওই ভাষায় চাইতে হবে। এটাও এক ধরনের যন্ত্রণা। আমি বিনা শর্তে মাফ চাইলাম, কোনো শর্তও রাখিনি, তাহলে আর বাকিটা কোথায়?”
তিনি আরও বলেন, “আজ আবার প্রকাশ্যে বলছি— ১৯৪৭ সাল থেকে ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যারা যেভাবে কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমরা বিনা শর্তে ক্ষমা চাই।”
বিজ্ঞাপন
এ সময় তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পিআরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণভোটের দাবি জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচন হবে— এতে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।”
তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, “জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।”
বিজ্ঞাপন
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “ভারতের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক চায় জামায়াতে ইসলামি।”