৪০ আসন জোটের জন্য রাখার পরিকল্পনায় বিএনপি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপি ২৩৬টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
বাকি ৬৪টি আসন নিয়ে এখনও চলছে চূড়ান্ত পর্যালোচনা ও জোট শরিকদের সঙ্গে আলোচনা। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি আসন জোটের অংশীদারদের জন্য সংরক্ষণের পরিকল্পনা করছে দলটি।
বিএনপির শীর্ষনেতাদের মতে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যোগ দিলে আসন বণ্টনের চিত্র পরিবর্তিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আগের ঘোষিত কিছু প্রার্থীও পরিবর্তনের মধ্যে পড়তে পারেন।
নতুন নির্বাচনী আইন (আরপিও) অনুযায়ী, জোটভুক্ত হলেও প্রতিটি দলকে নিজস্ব প্রতীকে ভোট করাতে হবে। তাই আসন ছাড়লেও শরিক দলের জয় নিশ্চিত নয়—এই কারণে বিএনপি এখন সতর্কভাবে হিসাব করছে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও কিছু আসনে বিএনপির শক্তিশালী নেতারা রয়েছেন। জনপ্রিয় প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও দলের মধ্যে আলোচনা চলছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেখানে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, সেই আসনের কিছু অংশ শরিকদের দেওয়া হতে পারে। শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে আলোচনায় থাকা দলের মধ্যে রয়েছে: লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ এলডিপি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণফোরাম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), এনডিএম, এনপিপি ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। এছাড়াও বিএনপি এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।
জোটের জন্য সংরক্ষিত আসনে ইতিমধ্যেই কিছু প্রার্থী মাঠে প্রচারণা শুরু করেছেন।
নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদ) – পটুয়াখালী-৩
বিজ্ঞাপন
ববি হাজ্জাজ (এনডিএম) – ঢাকা-১৩
আন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি) – ঢাকা-১৭ (গরুর গাড়ি প্রতীকে)
জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলন) – ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬
বিজ্ঞাপন
মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্য) – বগুড়া-২
জোনায়েদ সাকি জানান, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে।
বিজ্ঞাপন
একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, কিছু শরিক দলের জনপ্রিয়তা সীমিত, তাই ৪০টি আসন ছাড় দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনে জয়লাভের আগে আসন বণ্টন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
এখন পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষিত হয়নি এমন ৬৪টি আসনের মধ্যে রয়েছে: ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ২ ও ৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২ ও ৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪ ও ১০, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২০, গাজীপুর-১ ও ৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-১ ও ২, সুনামগঞ্জ-২ ও ৪, সিলেট-৪ ও ৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৬, কুমিল্লা-২ ও ৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, চট্টগ্রাম-৩, ৬, ৯, ১১, ১৪ ও ১৫ এবং কক্সবাজার-২।








