গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আ.লীগ উভয় পক্ষই দায়ী: তদন্ত কমিশন

গত জুলাই মাসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় এনসিপি এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মী ও সমর্থক উভয় পক্ষ দায়ী বলে জানিয়েছে সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন।
বিজ্ঞাপন
১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এরপর সাবেক বিচারপতিকে প্রধান করে গঠিত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের মূল দায়িত্ব ছিল ঘটনার কারণ নির্ধারণ, দায়ীদের চিহ্নিতকরণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে সুপারিশ করা। তবে গুলির মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি কমিশনের কার্যপরিধির মধ্যে ছিল না।
তদন্তে দেখা গেছে, সংঘর্ষের পেছনে উভয় পক্ষের উসকানি, গুজব এবং অমনোযোগী অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিজ্ঞাপন
কমিশন সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের আগের দিন স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে, এনসিপি নেতারা শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি ভাঙতে পারে। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজ্জাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এনসিপির প্রোগ্রামের সময় বাস্তবতার সঙ্গে দলের পরিকল্পনার দূরত্ব এবং স্থানীয়দের ট্রাইবালিজম মিলিয়ে সংঘর্ষকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল। উভয় পক্ষই তাতে দায়ী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষের আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে যথাযথ সমন্বয় ও যোগাযোগের ঘাটতি ছিল।
বিজ্ঞাপন
তদন্ত কমিশন ৮-১০টি সুপারিশ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পাঁচটি করণীয় তুলে ধরেছে। তবে সরকার এখনও কমিশনের প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি।
সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, কমিশন ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের পরিবারের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের মধ্যে অধিকাংশের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। স্থানীয়রা দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সংঘর্ষে অংশ নেয়।








