সরকারই বন্ধ করেছে আলোচনার পথ, গণভোটের লড়াই অবশ্যম্ভাবী

সংকট সমাধানের জন্য জনগণ কখনও আলোচনা বন্ধ করেনি, বরং সরকারের রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করায় সেই পথ আটকে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট আয়োজন এবং পাঁচ দফা দাবিতে চার মাসব্যাপী আন্দোলন এখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠা জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত আট ইসলামী দলের সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আজকের পল্টনের ‘ঐতিহাসিক সমাবেশ’ সেই আন্দোলনের পঞ্চম পর্ব। আমরা চাইনি সংঘাতের পথ অবলম্বন করতে; আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধানই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সরকার সেই পথ বেছে নেননি। বিশেষ কিছু রাজনৈতিক দলের চাপের কারণে জনতার আকাঙ্ক্ষাকে স্থবির করা হয়েছে, যা সরাসরি জনমতের বিপরীত।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট এবং বাকি তিন দফা দাবিতে আট দলের আন্দোলন কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং জনগণের ইচ্ছা ও ক্ষোভের প্রকাশ। গত চার মাসে আমরা চারটি পর্ব সম্পন্ন করেছি। আজ পঞ্চম পর্ব চলছে। এতে আট দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত— এটি আর সাধারণ সমাবেশ নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা।
হামিদুর রহমান আযাদ মনে করিয়ে দেন, সরকারের কাছে বহুবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা উপেক্ষিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, জনতার আকাঙ্ক্ষা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গণভোট এখন শুধু রাজনৈতিক দাবি নয়, বরং একটি অবধারিত জাতীয় সিদ্ধান্তের পথ।
সমাবেশে নেতাদের উপস্থিতি এবং জনতার ঢলকে তিনি “টিপিং পয়েন্ট” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়া মাত্র সময়ের ব্যাপার।
বিজ্ঞাপন
এই সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রতিনিধিরা।







