এনসিপি নেতা আখতার ঘুষ নিয়ে পিপি নিয়োগ দিয়েছেন: মুনতাসির

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলেছেন দলটির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মুনতাসির মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে ব্যক্তিগত ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব অভিযোগ বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মুনতাসির জানান, জুলাই আন্দোলনের পর দলের বিভিন্ন দায়িত্ব পুনর্বিন্যাসের সময় সারা দেশে নতুন পিপি নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন নরসিংদীর শিরিন আক্তার শেলীর নাম তিনি প্রস্তাব করেন। শিরিন ছিলেন আন্দোলনের শীর্ষ সক্রিয় কর্মীদের একজন এবং তার ছেলে গোলাম রেশাদ তমালও ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আহত হন গণঅভ্যুত্থানে।
বিজ্ঞাপন
তার অভিযোগ, আখতার হোসেনের ঘনিষ্ঠরা আর্থিক সুবিধা নেবার উদ্দেশ্যে শিরিনের নাম বাদ দিয়ে ঘুষ গ্রহণের ভিত্তিতে আরেক নারীর নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।
মুনতাসিরের ভাষায়, শিরিন আপা আন্দোলনে যেভাবে অবদান রেখেছেন, সেই তুলনায় তাকে বাদ দেওয়া ছিল ভয়াবহ অবিচার। অথচ আখতারের লোকজন টাকা নিয়ে অন্যকে জায়গা দিল।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি তারেক রহমান এবং আইনজীবী আসিফ নজরুলের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা শিরিন আক্তারকে পিপি হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু নিয়োগের পরপরই আখতার হোসেনের পক্ষ থেকে শিরিনের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মুনতাসির বলেন, খবর পাওয়ার পর শিরিন আপা নিজের গাড়িতে বসে আখতারের পিএস আতিক মুন্সিকে খুশি হয়ে এক লাখ টাকা দেন। এই ঘটনা অনেকেই জানেন।
মুনতাসিরের দাবি, ওই টাকা দেওয়ার পরও আখতার ক্ষুব্ধ হয়ে শিরিনকে ফোনে হুমকি দিয়ে বলেন, ৫০ লাখ টাকা লাগবে, আমরা যেমন নাম দিতে পারি, তেমনি নাম কেটেও দিতে পারি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, এসব তথ্য প্রকাশ করায় তার নিজের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। তবে এনসিপির আরও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের তথ্য পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করবেন বলে তিনি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ঘটনাটি নিয়ে এনসিপির অন্য নেতাদের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানা যায়নি।








