নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট, যা বললেন নাহিদ ইসলাম

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের এনসিপির প্রতীক শাপলা কলির নিবন্ধন গ্রহণের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই রিটের মাধ্যমে আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিতর্কিত প্রার্থী বদলাবে বিএনপি, নিয়েছে নির্বাচনী প্রচারে বড় পরিকল্পনা

নাহিদ ইসলাম বলেন, নিজ প্রতীকে ভোট সংক্রান্ত আরপিও সংশোধনীকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই সংস্কার বাতিলের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেটি আমরা নিন্দা জানাই। এটি নিয়ে রিট করে আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা আইনগতভাবে ইসিকে লড়াই করতে বলেছি।

রিট আবেদন করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। দলের মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। হাইকোর্ট বেঞ্চ, যা বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত, আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি করতে পারে।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ইসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনের মাঠ সমতল রাখতে প্রশাসনের রদবদলের রাজনৈতিক প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। গণভোটের সুষ্ঠু প্রচারণা নিশ্চিত করতে প্রশ্নগুলো আগে থেকেই প্রচার করা প্রয়োজন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সব দলের প্রস্তুতি বিবেচনা করা উচিত।

আরও পড়ুন: তারেক রহমান দেশে ফেরার সময় থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনে এখনও অনেক দুর্নীতিবাজ অফিসার রয়েছেন। ডিসি–এসপির বদলিতে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

এই সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মন্তব্য করেন, ছোট দলগুলোকে ব্যবহার করে একটি মহল আদালতের আশ্রয় নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম ব্যাহত করতে চাচ্ছে।