জনগণের দোয়ায় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণসংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য শুরুতেই দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রথমেই রাব্বুল আলামিনের প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। জনগণের দোয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোডে অবস্থিত ৩০০ ফিট গণসংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য রাখেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আপনাদের মাঝে, আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি। প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমাদের এই মাতৃভূমি ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর আধিপত্যবাদী হাত থেকে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ রক্ষা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সব স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ, খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালে দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে দেশের ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ—কৃষক, শ্রমিক, গৃহবধূ, নারী-পুরুষ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ সব মানুষ—এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা চায় তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। আজ আমাদের সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার।
তিনি এক উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমরা সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেই স্বপ্ন একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ, যেখানে একজন নারী, পুরুষ বা শিশু— যিনি হোক না কেন—নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
বক্তব্যকালে তিনি দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে উল্লেখ করে বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, চার কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য, পাঁচ কোটির মতো শিশু এবং ৪০ লক্ষের মতো প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন। কয়েক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছেন। এই মানুষগুলোর প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে লক্ষ-কোটি মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তারেক রহমান। এ সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং অন্যান্য নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানান।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের পর মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনকে ইতিহাসের একটি মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। মঞ্চে উপস্থিত লাখ লাখ নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ তারেক রহমানের প্রতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, হাত উঁচিয়ে সালাম দেন এবং বাংলাদেশের পতাকা ও ব্যানার্ড হাতে অবস্থান নিয়ে অভিবাদন জানান।








