খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করলেন দেশি-বিদেশি নেতারা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তারা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিজ্ঞাপন
শোকাবহ এই পরিবেশে বিদেশি কূটনীতিকদের পাশাপাশি বিএনপির শরিক দল ও মিত্র রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও প্রিয় নেত্রীর স্মরণে কার্যালয়ে ভিড় করছেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই শোক বইয়ে স্বাক্ষরের জন্য বিদেশি প্রতিনিধিদের আসা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত চীন, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, ভারত ও সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিরা এসে তাদের শোকবার্তা লিপিবদ্ধ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
শোক বইয়ে প্রথম স্বাক্ষর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ সময় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার সংগ্রাম ও অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোক জানাতে ২০ দলীয় জোটসহ অন্যান্য শরিক দলের নেতারাও গুলশান কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এদের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ‘গণতন্ত্রের মাতা’ হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিশেষ শোক বই খোলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত শোক বইয়ে স্বাক্ষরের কার্যক্রম চলে। যারা এদিন উপস্থিত হতে পারেননি, তাদের জন্য আগামী দুই দিনও শোক বই খোলা রাখা হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা এবং ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যে কেউ এসে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন। প্রিয় নেত্রীকে হারানোর বেদনায় গুলশান কার্যালয়ে বিরাজ করছে থমথমে ও বিষণ্ন পরিবেশ।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তার প্রয়াণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকে সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।








