সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটে মরদেহ বহনকারী ভ্যানটি সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। এর আগে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে মরদেহ নিয়ে যাত্রা শুরু করে গাড়িটি। ওই বাসাটিতে বিএনপির এই শীর্ষ নেত্রীর ছেলে তারেক রহমান বসবাস করেন।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জানাজা / মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু

এরও আগে সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ গুলশানের উদ্দেশে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তার দীর্ঘদিনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মরদেহ সরাসরি তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে স্বজন, দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান, যা চলে সকাল ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত।

বিএনপি চেয়ারপারসনের জানাজা বুধবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা পরিচালনা করবেন জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে মাঠে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে তার স্বামী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।

দলের এই শীর্ষ নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি ঢাকায় আসছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ

জানাজা ও দাফনকেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ২৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থাও মাঠে রয়েছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

তার মৃত্যুতে সরকার বুধবার থেকে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর, ১ ও ২ জানুয়ারি) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি বুধবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শোক পালন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে এবং বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।