সবার শেষে জান্নাতে যাওয়া ব্যক্তিকে আল্লাহ যেভাবে পুরস্কৃত করবেন

পবিত্র হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেন, আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য আমি এমন সব জিনিস তৈরী করে রেখেছি যা কখনো কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং কোন মানুষ কোনদিন তা কল্পনাও করতে পারে না। (বুখারি, হাদিস : ৪৭৭৯; মুসলিম, হাদিস : ১৮৯, ২৪২৪)
বিজ্ঞাপন
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মূসা (সা.) আল্লাহকে বললেন, জান্নাতে কার অবস্থানগত মর্যাদা সবচেয়ে সামান্য হবে?
তিঁনি বললেন, এমন এক ব্যক্তি, যাকে সমস্ত জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করার পরে জান্নাতের কাছে নিয়ে আসা হবে। তাকে বলা হবে, জান্নাতে প্রবেশ কর।
বিজ্ঞাপন
সে বলবে, হে রব! সবাই তাদের স্থান নিয়ে নিয়েছে। তারা তাদের যা নেবার তা নিয়েছে। তখন তাকে বলা হবে, যদি তোমাকে দুনিয়ার বাদশাদের রাজত্বের মত রাজত্ব দেয়া হয়, তুমি কি তাতে সন্তুষ্ট হবে?
সে বলবে, হে রব! আমি সন্তুষ্ট। তখন তাকে বলা হবে, তোমার জন্য তা-ই রইল, এর মতো আরও, এর মতো আরও, এর মতো আরও, এর মতো আরও।
পঞ্চম বারে আল্লাহ বলবেন, তুমি কি সন্তুষ্ট হয়েছ? সে বলবে, হে রব! আমি সন্তুষ্ট। তখন তিনি বলবেন, এটা তোমার জন্য, এটা ছাড়াও এমন আরও দশগুণ। এখানে তোমার মন যা চায় তাই থাকবে, তোমার চোখ প্রশান্ত হয় এমন জিনিসও থাকবে।
বিজ্ঞাপন
সে বলবে, হে রব! আমি সন্তুষ্ট। সে বলবে, হে রব! এই যদি আমার অবস্থা হয় তবে জান্নাতে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারীর কি অবস্থা?
তিঁনি বলবেন, তাদের জন্য আমি নিজ হাতে তাদের সম্মানের বীজ বপন করেছি, আর তাতে আমার মোহর মেরে দিয়েছি। সুতরাং কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শুনেনি, আর কোন মানুষের মনে তা উদিত হয়নি। তারপর রাসুল (সা.) এই আয়াত তেলাওয়াত করলেন—
বিজ্ঞাপন
অতএব কেউই জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ! (সুরা আস-সাজদাহ, আয়াত : ১৭, মুসলিম, হাদিস : ১৮৯)