জান্নাতে স্বামী-স্ত্রী কি একসঙ্গে থাকবেন?

মৃত্যু প্রাণী জীবনের অবিচ্ছেদ্য সত্য। পৃথিবীর আলোয় চোখ মেলে জন্ম নিলে একদিন না একদিন তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। কেউ তা অস্বীকার করতে পারে না, এ সত্য থেকে কেউই পালাতে পারে না। হ্যাঁ, স্বামী-স্ত্রী উভয়েই যদি জান্নাতী হন, তবে তারা জান্নাতে একসঙ্গে থাকবেন। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনদের জন্য একটি বিশেষ নিয়ামত।
বিজ্ঞাপন
কুরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই নেককার ও জান্নাতী হন, তবে আল্লাহ তাদের জান্নাতে একত্রিত করবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "এবং (আদনে) জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে এবং (তাদেরও) যারা তাদের পিতামাতা, স্ত্রী এবং তাদের সন্তানদের মধ্য থেকে সৎকর্ম করেছে" (সূরা রাদ, ১৩:২৩)। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজেও আয়েশা (রাঃ)-কে বলেছিলেন, "তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে আমার স্ত্রী"। জান্নাতে তাদের সম্পর্ক দুনিয়ার মতোই থাকবে, তবে তা হবে সব ধরনের অপূর্ণতা ও কষ্টমুক্ত।
আরও পড়ুন: যে ৪ কাজে দ্রুত কমে যাবে আপনার রিজিক
অবিবাহিত থাকলে বা স্বামী মারা গেলে:
বিজ্ঞাপন
যদি কোনো নারী দুনিয়াতে বিয়ে না করে থাকেন বা স্বামী মারা যাওয়ার পর আর বিয়ে না করেন, তবে জান্নাতে আল্লাহ তার জন্য এমন একজন জান্নাতী পুরুষের সাথে বিবাহের ব্যবস্থা করবেন, যাকে দেখে তিনি খুশি হবেন। জান্নাতে কেউ অবিবাহিত থাকবে না।
একজন জাহান্নামে গেলে অপরজনের কী হবে:
যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন জান্নাতে যায় এবং অন্যজন জাহান্নামে যায়, তবে তাদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক আর অবশিষ্ট থাকবে না।
বিজ্ঞাপন
যে জান্নাতে যাবে:
যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে, সে সেখানে একাকী থাকবে না। জান্নাতীদের সব মনোবাঞ্ছা পূরণ করা হবে। যদি কোনো জান্নাতী নারীর স্বামী জাহান্নামী হয়, তবে আল্লাহ তার ইচ্ছানুসারে কোনো জান্নাতী পুরুষের সাথে তার বিবাহ দেবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
বিজ্ঞাপন
সম্পর্ক ছিন্ন:
আখেরাতে প্রত্যেকের গন্তব্য তার নিজ নিজ আমল অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। জান্নাত ও জাহান্নামের অধিবাসীদের জীবন সম্পূর্ণ আলাদা হবে এবং তাদের মধ্যে কোনো সংযোগ থাকবে না।
মূল কথা হলো, জান্নাত এমন এক জায়গা যেখানে কোনো দুঃখ, কষ্ট বা অতৃপ্তি থাকবে না। সেখানে সবাই পরম সুখে থাকবে এবং তাদের সব বৈধ ইচ্ছা পূরণ হবে।








