হজ ফ্লাইট: ৩ এয়ারলাইন্সকে যাত্রী পরিবহনের অনুমোদন, কোটা বণ্টন চূড়ান্ত

এবার হজযাত্রী পরিবহনে কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অন্যান্য বছরের মতো এবারও হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস। কোটা নির্ধারণ করে ইতোমধ্যে তিনটি এয়ারলাইনসকে চিঠি পাঠিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ৩৫ শতাংশ ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৫ শতাংশ পরিবহন করবে।সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আগামী বছর ২০২৬ হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সদস্যসহ হজযাত্রীর সম্ভাব্য সংখ্যা ৮২ হাজার বলেও চিঠিতে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেই হিসাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৪১ হাজার জন, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ২৮ হাজার ৭০০ জন ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২ হাজার ৩০০ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে।
এয়ারলাইনসগুলোকে হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত পালন করতে হবে। যেমন- এয়ারলাইনসগুলো হজ চুক্তি এবং বরাদ্দ করা কোটা অনুযায়ী সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরের মাধ্যমে নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রীর গমনাগমন নিশ্চিত করবে। সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজের নির্ধারিত বিমান ভাড়ায় এয়ারলাইনসগুলো ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করবে। ডেডিকেটেড ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
এয়ারলাইনসগুলো এজেন্সি থেকে টিকিটের চাহিদা প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকেট দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে এবং পে-অর্ডার প্রাপ্তির দুদিনের মধ্যে হজযাত্রীর অনুকূলে টিকিট ইস্যু করবে। হজযাত্রীর অনুকূলে টিকিট ইস্যু করে এয়ারলাইনসগুলো নিজস্ব ওয়েবসাইটসহ ই-হজ সিস্টেমে আবশ্যিকভাবে এন্ট্রি করবে। টিকিট ইস্যুর সঙ্গে সঙ্গে পিএনআর, টিকিট নম্বর ও ফ্লাইট নম্বর দিয়ে হজযাত্রীকে এসএমএস দেবে।
কোনো এয়ারলাইনস তার নির্ধারিত কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রীর পে-অর্ডার গ্রহণ এবং হজযাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। এর ব্যত্যয় হলে তা হজ ব্যবস্থাপনায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
বিজ্ঞাপন
হজে যাওয়ার আগে হজযাত্রীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস টিকিটের সমুদয় অর্থ ফেরত দেবে। মৃত্যুবরণকারী হজযাত্রীর সঙ্গে সহগামী হিসেবে নিবন্ধিত পরিবারের কোনো সদস্য হজে গমন না করলে তাদের বিমান ভাড়ার অর্থও ফেরত দিতে হবে। সৌদি আরবে হজযাত্রীর মৃত্যু হলে ৫০ শতাংশ ভাড়া মৃত্যুবরণকারীর পরিবারকে ফেরত দিতে হবে।
দুর্ঘটনা বা গুরুতর অসুস্থতা বা ভিসা জটিলতা বা অন্য কোনো যৌক্তিক কারণে নির্ধারিত ফ্লাইটে কোনো হজযাত্রীর গমন সম্ভব না হলে এয়ারলাইনসগুলো হজযাত্রীকে প্রতিস্থাপন সুবিধা দেবে। এক্ষেত্রে সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীর ক্ষেত্রে হজ অফিস, ঢাকা এবং এজেন্সির হজযাত্রীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি কমপক্ষে ৩৬ ঘণ্টা পূর্বে এয়ারলাইন্সকে অবহিত করবে।
হজের নিয়ম-কানুন সম্বলিত তৈরিকৃত ভিডিও এয়ারলাইনসগুলো আবশ্যিকভাবে হজে গমনকালে বিমানে প্রদর্শন করবে। ভিডিও প্রদর্শন না করা হলে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের অসহযোগিতা বা অবহেলা হিসেবে গণ্য হবে।








