মেট্রোরেল প্রকল্পে টেন্ডার জালিয়াতির মাষ্টার সেলিম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্শিবাদে মেট্রোরেল প্রকল্পে টেন্ডার জালিয়াতির মাস্টার সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি মাহি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী।
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক প্রভাবে একাধিক প্রকল্পে টেন্ডার আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম করেছেন বলে জানা গেছে। শুধু মেট্রোরেল প্রকল্প নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে ছিলো তার একক আধিপত্য।
এই সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে কেউ টেন্ডার দিলে হামলার শিকার হতে হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা হারুন-অর-রশিদ দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) লাইন-৫ নর্দান রুট প্রকল্পকে কেন্দ্র করে গাড়ি সরবরাহের দরপত্রে ৯৪ লাখ টাকার জাল ব্যাংক গ্যারান্টি, প্রতিযোগী ঠিকাদারদের নথি যাচাই ছাড়াই অনুমোদন এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে অসম প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। অনিয়ম করে পুরাতন মডেলের গাড়ি সরবরাহের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া ও জ্বালানী তেলের টাকা আত্মসাত করেন তিনি। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নিরীহ ছাত্র জনতার ওপর হামলা করেন। শ্যামলী, আদাবর, মোহাম্মদপুর, আসাদগেইট ও কলেজগেইটসহ বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনি নিয়ন্ত্রন ছিলো সেলিম মোল্লার হাতে। তার ক্ষমতার নেপথ্যে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি ও শেরে-বাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের নেতা তারিক হাসান কাজল। সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছেলের টাকা বস্তা রেখে গেছে সেলিম মোল্লার বাসায়।
দুদক বলছে, ঢাকার অদূরে ৫ কাঠার প্লট, মোহাম্মাদপুরে নামে বেনামে ফ্ল্যাট ও তার নিজ গ্রাম ভোলায় শত বিঘা জমি ছাড়াও ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে। সূত্র বলছে, ২০২৩ সালের ২২ জুলাই পুরাতন কাগজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধ শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ছেলের নির্দেশে অস্ত্রের মহড়া দেন সেলিম। এ ছাড়াও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ও পনি উন্নয়ন বোর্ডেও ঠিক একইভাবে জাল-জালিয়াতি করে কাজ হাতিয়ে নেন তিনি। সেলিমের নেতৃত্বে রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগের ঝটিকা মিছিল বের করেন বলে অভিযোগে উঠে আসে। এ অভিযোগের বিষয়ে ডিএমটিসিএল বা অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী দাবি করেন, সরকারি লোনের টাকায় কেনা কিছু গাড়ি প্রকল্পে সরবরাহ দেখানো হলেও অভিযোগ অনুসারে এসবের একটি অংশ পুরোনো মডেলের কিংবা চাহিদা অনুযায়ী নয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এর মাধ্যমে ভাড়া বাবদ অর্থ ও জ্বালানির বিল অনিয়মে ব্যয় হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ সূত্র বলছে, হাসিনা সরকারের সময়ে মোহাম্মদপুর, শ্যামলী এলাকায় সংঘটিত কয়েকটি সহিংস ঘটনায় সেলিম ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছে। একাধিক ভিডিও অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে দুদকে জমা পড়েছে বলে সূত্র জানান।
এ বিষয় অভিযোগকারী হারুন-অর-রশিদ বলেন, হাসিনা সরকারের সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে দেখার জন্য দুদকের কাছে অনুরোধ করেছি।”
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় যাবে।
বিজ্ঞাপন








