৩ দফা দাবি মানা না হলে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একের পর এক নাটকীয় মোড় ঘুরতে থাকা এই নির্বাচনে ইতোমধ্যেই তামিম ইকবালসহ হেভিওয়েট ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এরই ধারাবাহিকতায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা ক্রীড়া সংগঠকরা এবার নতুন করে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এই দাবি না মানা হলে বিসিবির আগামী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন না।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠকরা।
বিজ্ঞাপন
এ সময় মোহামেডানের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, “বিসিবি নির্বাচনের নামে এক প্রহসন চলছে। এতে শুধু ক্রিকেট নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৬ অক্টোবর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা ইতিহাসে কলঙ্ক হিসেবে থেকে যাবে।”
সংগঠকদের উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো-
১. বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের সময়সীমা পেছানো।
বিজ্ঞাপন
২. অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন।
৩. বর্তমান বা নতুন কমিশনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া কেন এই দাবি তোলা হলো সে বিষয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন তারা। অভিযোগে বলা হয়- জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলর তালিকায় সরকারি হস্তক্ষেপ হয়েছে, আবাহনী ও মোহামেডানের মতো বড় ক্লাবের কাউন্সিলররা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, বিসিবি সভাপতির একক সিদ্ধান্তে কাউন্সিলরদের যোগ্যতার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলরশিপ গ্রহণ করা হয়েছে, ১৫টি ক্লাবকে কাউন্সিলরশিপ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলরদের আটকে রাখা হয়েছে।
সংগঠকরা ৫ অক্টোবরের মধ্যে তাদের দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় বৃহত্তর অসহযোগ আন্দোলন শুরু করার পাশাপাশি আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও সরে দাঁড়ানোর আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।