সাদমান-জয়ের ফিফটিতে রানের পাহাড় বাংলাদেশের

তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সফররত আয়ারল্যান্ড। ২১১ রানে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশ তাদের ফলো-অনে পাঠাতে পারত। কিন্তু ভিন্ন পথে হাঁটল নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারের ফিফটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫৬ রান। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে টাইগাররা ইতোমধ্যে ৩৬৭ রানের লিড পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের ওপেনিং জুটিতে ১১৯ রান তোলে বাংলাদেশ। দুজনই বেশ দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন। ততক্ষণে দুজনেই পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। গ্যাভিন হোয়ের বলে এলবিডব্লিুউ হয়ে জয়ের বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করা এই ডানহাতি ব্যাটার ৯১ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ব্যক্তিগত ৬০ রান করেন।
দিন শেষে মুমিনুল হকের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত আছেন সাদমান। ১১০ বলে ৫ চারে ৬৯ রান করেছেন ওপেনার সাদমান। আরেক অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুলের ব্যাটে এসেছে ১৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৩৭ ওভারে বাংলাদেশ ১ ওভারে ১৫৬ রান করেছে। রানের গড় ৪.২২। সিলেট টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ৫ উইকেটে ৯৮ রানের পর তৃতীয় দিন শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। আগেরদিনের বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ষষ্ঠ উইকেটে স্টিফেন দোহানি ও লরকান টাকার মিলে ৮১ রানের জুটি গড়েন। ৪৬ রানে ব্যাট করা দোহানি তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হতেই ভাঙে সেই জুটি। ক্রিজে নেমে কোনো রান যোগ না করতেই তাইজুলের বলে বোল্ড হন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনও।
এবার টাকার জুটি বাধেন বোলিং অলরাউন্ডার জর্ডান নিলের সঙ্গে। দুজন মিলে যোগ করেন ৭৪ রান। এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক টেস্টে অভিষেক হওয়া নিল দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম ফিফটি পেতে পারতেন। কিন্তু ৪৭ রানে থাকাবস্থায় নতুন বল হাতে নেয় বাংলাদেশ। নিলকে মুমিনুল হকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরানোর মধ্য দিয়ে ম্যাচে প্রথম উইকেটের দেখা পান এবাদত হোসেন। ২৪৯ রানে অষ্টম উইকেট হারানে আইরিশরা আর ১৬ রান যোগ করতে পেরেছে।
বিজ্ঞাপন
গ্যাভিন হোয়ে ও ম্যাথু হাম্প্রিস আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের ইনিংস শেষ হলেও, আরেক প্রান্তে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন টাকার। যা আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। ১৭১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এই ইনিংস সাজান উইকেটরক্ষক ব্যাটার টাকার। এ ছাড়া নিলের ৪৯ ও দোহানির ৪৬ রানই আইরিশদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য রানের ইনিংস।
সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করে টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে যৌথভাবে ২৪৭ উইকেট নিজের বাগে নিলেন তাইজুল ইসলাম। সমান ২৪৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফলে তাকে ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে তাইজুল। এ ছাড়া প্রথম ইনিংসে খালেদ আহমেদ ও হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।








