বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট: ভূমিকম্পের সময়ের অভিজ্ঞতা যেমন ছিল ক্রিকেটারদের

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছিল দিনের যথাসময়েই। তবে ঘণ্টা পেরোনোর পরই ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৭।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামেও বেশ কম্পন অনুভূত হয়। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মাঠজুড়ে। সাংবাদিকরা প্রেসবক্স ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। খেলা দেখতে আসা দর্শকরাও যে যার মতো আশ্রয়ের খোঁজে ছিলেন। মিনিট কয়েকের জন্য বন্ধ রাখা হয় খেলা। এই আতঙ্কটা ছড়িয়ে পড়েছিল খেলোয়াড়দের মধ্যেও।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম জানালেন, ওই মুহূর্তে ঠিক কী অবস্থা ছিল মাঠে, ‘আসলে প্রথমে বুঝিনি। তবে একটা সময়... সম্ভবত মিডিয়া বক্স ও যে জায়গাগুলোতে কাঁচ ছিল, সেখান থেকে একটা শব্দ আসছে। তারপরে শারীরিকভাবেও একটা (ঝাঁকুনি) অনুভূত হয়েছে। তো ওই সময়টা একটু আতঙ্ক কাজ করেছে।’
বিজ্ঞাপন
ড্রেসিংরুমে বসে (ভূমিকম্প) ভালোভাবেই টের পেয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ হেনরিখ মালান, ‘আমি অনেক দিন নিউজিল্যান্ডে থেকেছি। তাই আমি বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প দেখেছি। এটি কখনোই ভালো অনুভূতি নয়। ওই মুহূর্তে আসলে সবাই বোঝার চেষ্টা করছিলাম আমাদের আশপাশে ঠিক কী হচ্ছে। এরপর বৃহৎ প্রভাবের কথা ভাবছিলাম। আশা করি খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
‘কয়েক মিনিট সব কিছু থেমে ছিল। এরপর আবার আমাদের সব শুরু হয়। তো আসলে খুব বেশি সময় ছিল না বুঝে ওঠার জন্য।’








