পন্টিং, রুট, ইনজামাম, ওয়ার্নারের পরেই মুশফিকুর রহিম

এশিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের তালিকায় শচীন টেন্ডুলকার ও ইমরান খানের পরই মুশফিকুর রহিমের অবস্থান। বুধবার (১৯ নভেম্বর) তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেললেন। তারপর দুই ইনিংসে ব্যাটিং করে একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন বাংলাদেশের ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে আগেই এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। এবার ফিফটি করে নতুন আরেক রেকর্ডে নাম লেখালেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আরও পড়ুন: সাকিবকে ছাড়িয়ে রেকর্ডের চূড়ায় তাইজুল
বিশ্বের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ন্যূনতম ফিফটি করলেন মুশফিকুর রহিম। এতদিন এই কীর্তি ছিল শুধু অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের দখলে। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শততম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১২০ এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৪৩ রান করেছিলেন পন্টিং।
বিজ্ঞাপন
শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটারও তিনি। ১৯ বছর পর দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করে পন্টিংয়ের পাশে বসার সুযোগ অবশ্য পাননি টাইগার এই রান মেশিন। কারণ তিনি ৫৩ রানে অপরাজিত থাকতেই ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ দল।
দুই ইনিংস মিলে মুশফিক করেছেন ১৫৯ রান। শততম টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় পাঁচে আছেন মুশফিক। ২৬৩ রান নিয়ে সবার উপরে রিকি পন্টিং (১২০ ও ১৪৩*)। ২৫৮ রান করে জো রুট (২১৮ ও ৪০) দুই নম্বরে। ২১৫ রান নিয়ে ইনজামাম উল হক (১৮৪ ও ৩১*) তিন ও ২০০ রানে ডেভিড ওয়ার্নার (২০০) চারে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক সেই কীর্তি গড়ে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের একটি এলিট ক্লাবেও নাম লেখান তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত মাত্র আটজন উইকেটকিপার ১০০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন। টেস্ট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত একশ টেস্ট খেলেছেন ৮৪ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা ১১তম খেলোয়াড় হলেন মুশফিকুর রহিম।








