ক্ষোভে নোয়াখালীর অনুশীলন রেখে সিলেট ছাড়ছেন সুজন-তালহা

বিপিএল দ্বাদশ আসরের উদ্বোধনী দিনে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাকি। কিন্তু লিগ শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা পরিবর্তনের খবরের সঙ্গে মিলেমিশে আরও একটি নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের শিবিরে।
দলের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের ঘন ঘন অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাঠ ত্যাগ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
দুপুরের আগে তারা অনুশীলন ছেড়ে সিএনজিতে করে সিলেটের মাঠ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে হোটেল থেকে ব্যাগ গুছিয়ে তারা ঢাকা ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেছেন। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের।
তালহা জানিয়েছেন, কোনো কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা কোচ সত্ত্বেও অনেক কিছু জানি না। অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো সরঞ্জামও আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। শুধু বল নয়, স্ট্যাম্প, কনই যথাযথ সরঞ্জাম নেই। আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে চাই, কিন্তু দুইদিন ধরে কাজ করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, “ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে আমাদের অনুশীলন ছিল ঠিকমতো, বলও সময়মতো পাওয়া যেত। কিন্তু এখানে সরঞ্জাম দেবে না, মনে হয় আমরা চুরি করব। আজ অনুশীলনে এসেছে মাত্র তিনটি বল, আর কিছুই নেই। এর মধ্যে ম্যাচও হচ্ছে কাল। এই পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করতে পারব না।”
বিজ্ঞাপন
তালহা আরও জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের লোকজন সব ব্যবস্থা করছে, আমাদের হাতে কোনো দায়িত্বই আসেনি। নিজের সম্মানহানি করে কাজ করতে পারব না। আমি এবং সুজন ভাই উভয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কাজ করব না। আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো পেমেন্ট পাইনি, ডে-এলাউন্সও নেই। মূলকথা, আমাদের হাতে কোনো টাকা-পয়সা আসেনি।
এ ঘটনায় নোয়াখালী এক্সপ্রেসের খেলোয়াড়রা এখন অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। খেলার মাত্র এক দিন বাকি থাকা সত্ত্বেও কোচিং স্টাফের এই পদত্যাগ লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে দলের প্রস্তুতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে এ ধরনের অরাজকতা এবং অব্যবস্থাপনার ফলে বিপিএলের শুরুর আগেই উত্তেজনা ও বিতর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি চললে দলের কর্মক্ষমতা ও খেলোয়াড়দের মনোযোগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।








