বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে বিসিবির স্পষ্ট হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের আসরগুলোতে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের পারিশ্রমিক জটিলতা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিজ্ঞাপন
আসন্ন দ্বাদশ বিপিএল শুরুর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আর্থিক দায়বদ্ধতা বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে বোর্ড—পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো অনিয়ম হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিসিবির পরিচালক আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, কোনো খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফের পাওনা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হলে বোর্ড তা উপেক্ষা করবে না। তিনি বলেন, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল টুর্নামেন্টের দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনা দেখভাল করলেও, সামগ্রিকভাবে প্রতিযোগিতার সুশাসন ও নীতিগত সিদ্ধান্তের দায়িত্ব বিসিবির পরিচালনা পরিষদের ওপরই ন্যস্ত।
বিজ্ঞাপন
আমজাদ হোসেন বলেন, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল মূলত টুর্নামেন্ট পরিচালনার কাজ করে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির আর্থিক বিষয় বা আয়োজন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো তাদের নিজস্ব। বিসিবি সার্বিকভাবে বিষয়গুলো তদারকি করে এবং যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিচালনা পরিষদই নেয়। সবকিছু এখন প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা এবং খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধের অগ্রগতি সম্পর্কে গণমাধ্যমের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এই পরিচালক। তার ভাষায়, কোন দলগুলো সঠিকভাবে এগোচ্ছে এবং কারা খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করেছে—সেসব তথ্য আপনারা গণমাধ্যম থেকেই জানতে পারছেন।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে বা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিসিবি আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না।
বিজ্ঞাপন
খেলোয়াড়দের পাওনা নিয়ে কোনো সমস্যা হলে বোর্ড তার নিজস্ব আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আমরা আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এরপরও যদি কেউ শর্ত ভঙ্গ করে বা অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলেন আমজাদ হোসেন।
বিপিএলের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং লিগকে আরও স্বচ্ছ ও পেশাদার পর্যায়ে নিয়ে যেতে বিসিবির সংশ্লিষ্ট কমিটি কাজ করছে বলেও জানান তিনি। অতীতের বিতর্ক ও অভিযোগ থেকে বেরিয়ে এসে ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করাই বোর্ডের লক্ষ্য।
বিজ্ঞাপন
আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের এই কমিটি বিপিএলকে সুরক্ষিত ও বিশ্বাসযোগ্য রাখার জন্য কাজ করছে। অতীতে যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠে কীভাবে টুর্নামেন্টকে আরও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করা যায়, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আগেও আপনারা এর প্রতিফলন দেখেছেন, ভবিষ্যতেও দেখবেন।
উল্লেখ্য, বিপিএলের একাদশ আসরে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের বেতন বকেয়া রাখার অভিযোগ ওঠে, যা লিগের ভাবমূর্তিকে বড় ধরনের ধাক্কা দেয়। সেই অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতেই এবার শুরু থেকেই কড়া নজরদারিতে রয়েছে বিসিবি।








