গাজীপুরে ফ্ল্যাট বাসা থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে আটক ৫

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার এস আই নয়ন ভূইয়া
বিজ্ঞাপন
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি এলাকায়, রোকেয়া বেগমের ফ্ল্যাট বাসা থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ৫ যুবক যুবতীদের হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১২জুলাই) রাতে রোকেয়ার ফ্ল্যাট বাসার নিচ তলার একটি রুম থেকে ৩ নারীসহ ২ যুবককে গ্রেফতার করে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার এস আই নয়ন ভূইয়া।
ঘটনাসূত্রে জানাযায়, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড ভাংনাহাটি পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রোকেয়ার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত দেহব্যবসায়ী স্বর্না আক্তার। সেই থেকে বাড়িওয়ালী রোকেয়ার সাথে দেহব্যবসায়ী স্বর্নার ব্যবসায়ীক যোগাযোগ বেড়ে যায়। এর পরথেকে প্রতিনিয়তই এই ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসা চলতো। যার টাকার একটা বড় অংশ ফ্ল্যাট মালিক রোকেয়া বেগম পেতো।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় মেয়েকে খুন করে পালালেন বাবা
বিজ্ঞাপন
ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিকেলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে এলাকার উৎসুক জনতা তাদের হাতেনাতে ধরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে রাত পৌনে ১১ টার দিকে পুলিশ এসে দেহ ব্যবসায়ী নারী ও খদ্দেরদের আটক করে।
তবে বাড়িওয়ালী রোকেয়াকে আটক করা হয়নি। দেহব্যবসায়ী স্বর্ণা জানায়, আমি রোকেয়ার বাসায় ভাড়া থেকে এসব খারাপ কাজ করি।এথেকে যা টাকা পাই তার অর্ধেক টাকা দেয়া হয় রোকেয়াকে। দেহব্যবসায়ী স্বর্ণা বিভিন্ন সময় তরুন তরুনীদের রুম সুবিধা দিতে নিয়ে আসতো রোকেয়া আপার কাছে। এদের বেশির ভাগই হলো পোশাকশ্রমিক, প্রেমিক যুগল।
বিজ্ঞাপন
নিজ বাসায় দেহব্যবসার বিষয়ে রোকেয়া বেগম জানায়, স্বর্না আমার বাড়িতে ভাড়া থাকতো, কিন্তু তার সাথে আমার শুধু বাসা ভাড়া নিয়ে লেনদেন হতো, অন্য কিছু না।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের দাবি, বাড়ির মালিক রোকেয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসার সাথে জড়িত থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ করছে। এতে তাদের সন্তানদের নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে তারা। তাই তারা সমাজ থেকে এই দেহব্যবসা বন্ধ করার পাশাপাশি দেহব্যবসায়ীদের উপযুক্ত বিচারের দাবি করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
বিজ্ঞাপন
এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক এস আই নয়ন ভূইয়া জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং দেহব্যবসার সাথে জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে নারী ৩ জন পুরুষ ২ জন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/