উপকূলীয় হাটগুলোতে বেড়েই চলছে সবজির দাম

বিক্রেতারা বলছেন মোকামে সবজি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
পটুয়াখালীর উপকূলীয় হাটগুলোতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলছে শীতকালীন সবজির দাম। সবজির দাম যেন আকাশ ছুই ছুই যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গছে ।
বিজ্ঞাপন
৬০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সবজি। বিক্রেতারা বলছেন মোকামে সবজি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে মহিপুর বাজারে ক্রেতা মো. খলিলুর রহমান বলেন, সবজির দাম যে হারে বেড়ছে তা কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়বে।
জামাল বলেন, মাংস তো অনেক আগেই ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। শাক-সবজির দাম যে হারে বাড়ছে তা কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
৬০ বছর বয়সী আছিয়া বেগম বলেন, ‘বাবা আমি অসহায়, মানুষের কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে চাউল-ডাল কিনে খাই। তরি তরকারির দাম বেশি আমি কেমনে কিনে খাব’।
ক্রেতারা বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকায় সবজির দাম অতিরিক্ত বাড়ছে। সরজমিনে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো ১৩০, গাজর ১২০, করলা ১০০, বেগুন ৮০, সিম ৮০ ,ওলকপি ৭০ , ফুলকপি ৭০, বাঁধাকপি ৬০, মুলা ৪০, লালশাক ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, শসা ৬০, পটোল ৬০, বরবটি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং লাউ আকারবেদে ৫০-৭০টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সবজি বিক্রেতা কালাম মিয়া বলেন, প্রকারভেদে বিভিন্ন সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি শীতকালীন সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বেশি।
বিক্রেতা মামুন বলেন, সবজির দাম বেশি শুনে অনেক ক্রেতাই ঘুরে চলে যাচ্ছেন সবজি না কিনে।
লাগামহীন সবজি বাজারে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি নেই, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বিজ্ঞাপন
এসডি/
বিজ্ঞাপন