ডিসেম্বরে পাবনা-ঢাকা ট্রেন চালু না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের মধ্যে পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শেকড় ফাউন্ডেশন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শেকড় ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবীব মোস্তাফা।
তিনি আরও বলেন, এবার আমরা ঢাকায় রেল মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিব। পাবনার যৌক্তিক উন্নয়ন দাবিতে সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবক, সুধীজন ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো একত্রিত হলেও নানা অজুহাতে পরিকল্পনাগুলোকে বারবার নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবার মৃত্যু
বিজ্ঞাপন
ইশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেলরুট নির্মাণে প্রায় ১ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা ব্যয় করে বর্তমানে মাত্র একটি লোকাল ট্রেন প্রতিদিন রাজশাহী রুটে চলছে। এমনকি রাষ্ট্রপতির ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও দৃশ্যমান কোনো বাস্তবায়ন নেই।”
এবি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকজন সচিবদের সরেজমিনে নিয়ে এসে পরিদর্শন ও আলোচনায় প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে ঢাকা-পাবনা রেল যোগাযোগ নতুন ইঞ্জিন বগি রুট সময়সহ রেডি ছিল, কার স্বার্থে এটা বন্ধ হলো?
বিজ্ঞাপন
যমুনা সেতুর সময় পাবনাকে এড়িয়ে সিরাজগঞ্জে নেয়ার পেছনে বলা হয়েছিল নগরবাড়ি রেলযোগাযোগ নাই সেখানে যখন রেললাইন হলো সেটা পাবনা নগরবাড়ি সরাসরি না করে বিভিন্ন গ্রাম বিভিন্ন বাড়ি ঘুরিয়ে জিকজ্যাক লাইন কেন করা হলো?
আমরা পাবনাবাসী পাবনার উন্নয়নে ৫২' ৭১' ৯০' ২৪' এর আন্দোলের সকলে একত্রিত হই, সকল রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক ও আন্তরিক হোন সকলে। পিছিয়ে পরা পাবনাকে যে কোনো মূল্যে অতিক্রম করতেই হবে। আমাদের কোনো প্রতিশ্রুতি, খোড়া যুক্তি দিয়ে থামিয়ে রাখা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
পাবনা খয়েরচর আরিচা নৌরুটকে স্বাগত জানাই তবে মাত্র ৫০ মিটার রেললাইন আনুমানিক এক কোটি টাকা খরচে পাবনা মাঝগ্রাম দিয়ে পাবনা ঢাকা রেল যোগাযোগ দাবি থেকে কোনোভাবেই আমরা সরে দাঁড়াব না। এজন্য পাবনা ও ঢাকাসহ যেকোনো জায়গায় কঠোর আন্দোলনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
পাবনার সাধারণ মানুষ মনে করছেন— সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হলে রাজধানীতে যাতায়াত সহজ হবে কৃষি ও তাঁত শিল্পের পণ্য দ্রুত বাজারজাত করা যাবে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগে গতি আসবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়বে। দ্রুত রেল যোগাযোগ চালু না হলে বিশাল অঙ্কের সরকারি বিনিয়োগ অর্থনৈতিকভাবে অপচয় হয়ে দাঁড়াবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শেকড় ফাউন্ডেশন সহ-সভাপতি আল মাসুদ খান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তাফিজুর রহমান খান, নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম কাদির চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ড. ওমর ফারুক ও নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান সোহেল।