রাতের আধারে ইছামতি নদী থেকে মাটি চুরির অভিযোগ

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বাড়াদিয়া বাজার নবনির্মিত সেতুর অদূরে ইছামতি নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালুখেকোরা।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় সুমন, জাহিদ, রউফ ও সফিক প্রকাশ্যে এই অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইছামতি নদীর পাড় ঘেঁষে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ফসলি জমি, বসতবাড়ি, দুটি ব্রিজ ও স্কুলঘরসহ সরকারি স্থাপনা। নদীভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে জমি ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদী গর্ভে বিলীন হবে জমি ও বসতভিটে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রাতে ঘুমানো তো দূরের কথা, দিনের বেলাতেও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে কিছুলোক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের পেছনে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। রহস্যজনক কারণে প্রশাসন থেকেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিশেষ করে গভীর রাতে এই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাদ ধসে শ্রমিকের মৃত্যু
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন জেনেছি। সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে দিয়েছি, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন দ্রুত অভিযানে নেমে অবৈধ ড্রেজার জব্দ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক—নইলে অচিরেই নদী ও কৃষিজমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।








