পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। প্রতিনিয়তই বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষের। শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেও মিলছে না কোনো প্রতিকার।
কমতে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়াসহ আশপাশের ৫ কি:মি: এলাকায় পদ্মা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। প্রতিনিয়তই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বসতভিটা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। শেষ সম্বলটুকু হারানোর ভয়ে চরম আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের অধিকাংশ ফসলি জমিই বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। ভিটেবাড়িও পড়েছে হুমকির মুখে।
আরও পড়ুন: খাদে উল্টে পড়ল বাস, প্রাণ গেল মা-মেয়ের
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা বলছেন, মাঝে মাঝেই ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেললেও তা কোনো কাজেই আসেনি। দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। তাই ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন তারা। অনুমতি পেলেই নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাশেদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি সময়ে পদ্মা নদীতে পানি নামা শুরু হয়েছে। পানি নামার কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন সংগঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ভেড়ামারা মুন্সিপুরে যে জায়গায় ভাঙন নিয়ে মানববন্ধন হয়েছে, আমরা সেই জায়গা পরিদর্শন করেছি। সেই জায়গায় ভাঙনের মাত্রা অত্যাধিক বেশি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। খুব দ্রুতই সেখানে জিও ব্যাগ অথবা টিউব দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হবে।
বিজ্ঞাপন
শুধু আশ্বাস নয়, পদ্মার ভাঙন রোধে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে সরকার, এমনটায় প্রত্যাশা নদী পাড়ের মানুষের।








