ভোলার বেতুয়া লঞ্চ টার্মিনাল ভবন উদ্ধোধন

ভোলার বেতুয়া নদী বন্দর টার্মিনাল ভবন উদ্ধোধন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনের বেতুয়া নদী বন্দর টার্মিনাল হয়। এ সময় বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা জেলা শহর থেকে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরফ্যাশনের দূরুত্ব প্রায় একশত কিলোমিটার। আঞ্চলিক হাইওয়ে সড়কে চরফ্যাশনের সাথে জেলা সদরের নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ থাকলেও সেখানকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের মোকাম হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। আর ঢাকার সাথে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের লঞ্চযোগে যোগাযোগ হয়ে থাকে। চরফ্যাশনের যে ক'টি লঞ্চঘাট রয়েছে, তারমধ্যে বেতুয়া ঘাটটিই সবচাইতে বৃহৎ ও যাত্রীবহুল। বেতুয়া নদী বন্দরটি চরফ্যাশন উপজেলা এবং মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে একটি গেজেটের মাধ্যমে বন্দরটি ঘোষিত হয়। জনসাধারণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক ও ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিগত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই টার্মিনালটির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ৩ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক এ টার্মিনালটি উপকূলীয় জেলা ভোলার একমাত্র দৃষ্টিনন্দন লঞ্চ টার্মিনাল। উন্নতমানের অবকাঠামো ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বেতুয়া নদীর পাড়ে ৮ শতাংশ জমির উপর সাড়ে ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের ৩ তলা বিশিষ্ট আধুনিক লঞ্চ টার্মিনালটি নির্মিত হয়।
ভবনটিতে যাত্রীদের ভ্রমণে অপেক্ষার জন্য আরামদায়ক ভিআইপি ওয়েটিং রুম, বিশ্রামাগার, সহজ প্রবেশাধিকার ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেস্টুরেন্ট, আধুনিক স্যানিটেশন ও বন্দর অফিসের ব্যবস্থাপনা রয়েছে। পাশাপাশি টার্মিনাল থেকে নিরাপদে পন্টুন ও লঞ্চে ওঠানামার জন্য রয়েছে শক্তিশালী গ্যাংওয়ে। এই টার্মিনাল চালু হলে দ্রুত ও সহজে বাজারের ব্যবসায়ীরা মোকাম থেকে লঞ্চযোগে পণ্য পরিবহন করতে পারবে। জনবহুল চরফ্যাশনবাসীর জন্য এ টার্মিনাল অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও ঘাট এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেচা-কেনা বাড়বে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি কমে আসবে।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনকালে বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্য (প্রকৌশল) এ,কে,এ,এম ফজলুল হক, নৌপরিবহন উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী (পুরঃ) মো. মহিদুল ইসলাম, পরিচালক (নৌনিট্রা) মো. সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (নৌসওপ) ক্যাপ্টেন মো. শাহজাহান, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মোঃ সাজিদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বরিশাল সার্কেল, পুর) আ. স. ম. মাশরেকুল আরেফিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (পুরঃ) মো. আমজাদ হোসেনসহ প্রধান কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।








