টঙ্গীর ইমাম মুহিবুল্লাহ মিয়াজী ‘অপহরণ’ দাবি মিথ্যা: পুলিশ

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে খতিব ও পেশ ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানিয়েছে, তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় ঘটনার পেছনে ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান বলেন, ইমাম মুহিবুল্লাহ অপহরণের পেছনে কোনো তৃতীয় পক্ষের সম্পর্ক নেই। পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকিট কেটে পঞ্চগড় গেছেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, ইমামের সঙ্গে থাকা বাসের সহযাত্রী ও বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে আছেন এবং ইতোমধ্যে মুহিবুল্লাহ পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন।
এর আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে মাওলানা মুহিবুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টঙ্গী পূর্ব থানায় আনা হয়। সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছেন যে ঘটনার পেছনে তার নিজস্ব ইচ্ছা ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ২২ অক্টোবর সকালে, যখন মুহিবুল্লাহ শিলমুন সিএনজি এলাকার সামনে থেকে চলে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরের দিন, ২৩ অক্টোবর সকাল পৌনে ৭টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থানাধীন হেলিপ্যাড বাজারে শিকল বাঁধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সাহায্য চেয়ে যান। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিজ্ঞাপন
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, মুহিবুল্লাহর শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি; কেবল ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২২ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে শিলমুন সিএনজির সামনের সিসিটিভি ফুটেজে মুহিবুল্লাহকে একাই দ্রুত হেঁটে যেতে দেখা গেছে। কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল না। মোবাইল ট্র্যাকিং ও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি ক্যামেরার আড়াল হয়ে সিরাজগঞ্জ হয়ে পঞ্চগড়ে পৌঁছান।
বিজ্ঞাপন
জিএমপি কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে অপহরণের মতো দেখালেও পুরোপুরি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং পুলিশ সব ধরনের বিভ্রান্তি দূর করতে এই সংবাদ সম্মেলন করেছে।








