বগুড়ায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বোরো ধান

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকের ক্ষতি নতুন কিছু নয়। তবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ক্ষতি অনেকাংশে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
বৃষ্টির পানি জমে থাকলে দ্রুত নিষ্কাশন, রোগ প্রতিরোধ ও সঠিক পরিচর্যা করলে হেলে পড়া ধানগাছও পুনরায় দাঁড়িয়ে ভালো ফলন দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন কৃষকদের সচেতনতা, সরকারি সহায়তা এবং স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত সমন্বিত উদ্যোগ।
সম্প্রতি টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও মাঝারি উঁচু জমিতে পানি জমে গেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ধান চাষিরা। বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা আর্দ্রতা ও বাতাসের প্রভাবে অনেক জায়গায় কাঁচা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। এতে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গভীর উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি ১ লিটার দুধ
বিজ্ঞাপন
উপজেলার চৌকিবাড়ী, মথুরাপুর ইউনিয়নসহ আশেপাশের বিষ্ণুপুর, পাচথুপি, নছরতপুর, পীরহাটি ও খাদুলীসহ অনেক গ্রামেই এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসংখ্য কৃষক।
কৃষক শাহজাহান আলী, সিরাজুল ইসলাম, ফেরদৌস আলম, ফজলুল হক, গোলবার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আলামীন, মোতালেব হোসেন, আলী আকবর, বেলাল হোসেন, বাবলু সেখ, আব্দুর রশিদ ও হবিবর রহমানসহ অনেকে ধানক্ষেতের এমন বিপর্যয় সম্পর্কে বলেন, গাছ যদি পুরোপুরি সোজা অবস্থায় ফিরিয়ে আনা না যায়, ফলন কমে যাওয়ার পাশাপাশি যেমন বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তেমনি সার, বীজ ও শ্রমের বিনিয়োগ ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কায় ধুনট উপজেলার ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের চোখে-মুখে নেমে এসেছে হতাশার ছাপ।








