হেলিকপ্টার নামতেই সৌদি নাগরিককে ঘিরে গ্রামে উৎসব

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রত্যন্ত গ্রাম বড়ঘাগটিয়ায় সৌদি নাগরিকের আগমনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। যেখানে সাধারণ দিনে একটি প্রাইভেটকার এলেও ভিড় জমে যায়, সেখানে এবার অবতরণ করেছে একটি হেলিকপ্টার।
বিজ্ঞাপন
শনিবার দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে সৌদি নাগরিক ফাহাদ আল খোলা এবং দুই প্রবাসী বাংলাদেশি বড়ঘাগটিয়া গ্রামে নামেন। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে সৌদি আরবে কর্মরত গ্রামেরই যুবক মোহাম্মদ সানি। তার তিন ভাইও প্রবাসে। কাজের সূত্রে সানির সঙ্গে পরিচয় হয় সৌদি নাগরিক ফাহাদ আল খোলা’র। বন্ধুত্বের টানেই ফাহাদ এসেছেন সানির বিয়েতে যোগ দিতে।
গ্রামে হেলিকপ্টার নামার দৃশ্য দেখতে ভিড় করে ছোট-বড় সবাই। বাচ্চারা দৌড়ে আসে, হাত নাড়ে, উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় পুরো এলাকায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় গণপিটুনিতে তিনজনের মৃত্যু
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমাদের এই গ্রামে একটা প্রাইভেটকার এলেই মানুষ জড়ো হয়। আজ তো হেলিকপ্টার এসেছে! সবাই খুব আনন্দিত। সৌদি ভাইটিও খুব সহজ-সরল, সবার সঙ্গে মিশে গেছেন।’
সানির বাবা ফেরদৌস মিয়া জানান, ‘আমার চার ছেলে সৌদিআরবে থাকে। ফাহাদ সাহেব তাদের খুব ভালোবাসেন। অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশে আসার ইচ্ছে ছিল, অবশেষে ছেলের বিয়েতে এলেন। আমরা সবাই খুব খুশি।’
সহকারী শিক্ষক তানিয়া আলম মনি বলেন, ‘বাচ্চারা জীবনে প্রথমবার হেলিকপ্টার দেখল। তাদের আনন্দ দেখে আমরাও খুব খুশি।’
বিজ্ঞাপন
গ্রামের মেয়ে স্নেহা আক্তার বলেন, ‘হেলিকপ্টার আসবে শুনে গতকাল থেকেই অপেক্ষায় ছিলাম। আজ নিজের বাড়ির সামনে কাছ থেকে দেখে দারুণ লেগেছে।’
প্রতিবেশী মহিউদ্দিন আলমগীর বলেন, ‘এই গ্রামে আগে কখনও হেলিকপ্টার আসেনি। ফাহাদ ভাই খুবই ভালো মানুষ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ খুব সুন্দর দেশ।’
বিজ্ঞাপন
সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ সানি বলেন, ‘অনেকে বলে সৌদি লোকজন ভালো না, কিন্তু আমার বন্ধু ফাহাদ আল খোলা অসাধারণ মানুষ। তিনি এখন আমার পার্টনারও। ভালোবাসার টানে আমার বিয়েতে এসেছেন। ভবিষ্যতে গ্রামে ব্যবসা করারও ইচ্ছে আছে তার।’
সৌদি নাগরিক ফাহাদ আল খোলা বলেন, ‘মনির, সানি ও জনি আমার বন্ধু। বাংলাদেশে এসে আমি খুবই আনন্দিত। এখানকার মানুষ আন্তরিক, দেশটা সুন্দর। কিছুদিন এখানে থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দেখতে চাই ’
হেলিকপ্টারের আগমন ও বিদেশি অতিথির উপস্থিতিতে সানি পরিবারের পাশাপাশি পুরো গ্রামেই এখন উৎসবের আমেজ।








