বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে তিন বাগানের শ্রমিকদের মানববন্ধন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন তিনটি চা-বাগান সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতীর শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া আদায়ের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে মানববন্ধন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার সকালে সাতগাঁও চা-বাগানের দুর্গামন্দির গেইট সংলগ্ন সড়কে আয়োজিত এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাজল কালিন্দী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী, মাকড়িছড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাশী নারায়ণ গড়, সাধারণ সম্পাদক বিমল সাঁওতাল, ইছামতী পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য স্বাধীন চাষা, পঞ্চায়েত সদস্য মন্টু কুর্মী, ইউপি সদস্য ঈশ্বর কালিন্দী ও নারী ইউপি সদস্য শান্তনা বাড়াইক প্রমুখ।
মানববন্ধনে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা নিয়মিতভাবে ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।
বিজ্ঞাপন
এ নিয়ে উপজেলা উপ-পরিচালক (ডিডিএল) কার্যালয়ে একাধিকবার আলোচনার পরও মালিকপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক নারী শ্রমিক বলেন,পাতার ঘ্রাণ, ঘাম ও শ্রমে চা-শিল্প চলে। আমরা মানুষ, আমাদেরও মর্যাদা আছে। ন্যায্য পাওনা আমরা কেন পাবো না? এই লড়াই শুধু টাকার নয় বেঁচে থাকার অধিকার।
সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী বলেন, ১৭ মাস ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা দেওয়া হয়নি। আগেও ৯ মাসের বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। কিন্তু তা পালন করা হয়নি। শ্রমিকদের জীবিকা সীমিত এই প্রভিডেন্ট ফান্ডই তাদের একমাত্র সঞ্চয়। দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি এ বিষয়ে সরকারের ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিজ্ঞাপন
সাতগাঁও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ধাপে ধাপে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে টাকা পাঠাচ্ছি। আগামী জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।
বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ৯ মাস বকেয়ার সময় ব্যবস্থাপক লিখিতভাবে তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রায় ১৭ মাস পার হয়ে গেছে। মালিকপক্ষের টালবাহানা বন্ধ না হলে শ্রমিকরা আরও কঠোর কর্মসূচির পথে যেতে বাধ্য হবে।








