মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত

সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ পেশায় শ্রমিক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিক মল্লিক। অপরপক্ষে রয়েছেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজির আলী ও তার অনুসারীরা।

আরও পড়ুন: এই ‘ফজু পাগলা’র জন্য সারা দেশের মানুষ পাগল: ফজলুর রহমান

গত সপ্তাহে এই দ্বন্দ্বের জেরে তুহিন দেওয়ান নামে ওয়াহিদ-আতিক গ্রুপের এক সমর্থক খুন হন। তার প্রতিশোধ নিতে আজ ভোরে ওয়াহিদ-আতিক গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

নিহত আরিফের বোন ফাতেমা জানান, ভাই কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ভোরে টিউবওয়েলে মুখ ধোয়ার সময় আতিক মল্লিক ও জাহাঙ্গীর ইউসুফের নেতৃত্বে ১০০-১৫০ জনের একটি দল ট্রলারে করে এসে হামলা চালায়।

নিহতের স্ত্রী পারুল বেগম বলেন, স্বামী শ্রমিকের কাজ করতেন। সকালে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এ সময় ৬০-৭০ জন এসে গুলি করে চলে যায়।

আরও পড়ুন: পদ্মফুল তুলতে গিয়ে ৪ স্কুলছাত্রী নিহত

মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়। আরিফ হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। ইমরানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একাধিক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বরও সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধ হন।