চাঁদাবাজদের সঙ্গে জোট করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো : হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আদেশ অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি কোনো অর্থ আদেশ বা প্রজ্ঞাপন নয়, বরং এটি জুলাই সনদের আদেশ এবং সেই আদেশ অবশ্যই ড. ইউনূসকে দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সামনে নির্বাচন বানচালের জন্য নানা ধরনের চক্রান্ত চলছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার রাজনৈতিক দায় আমাদের আছে, তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এনসিপি একাধিকবার মিডিয়া প্রপাগান্ডার শিকার হয়েছে, তবে আমরা সবসময় সত্য তুলে ধরেছি। আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়েছিল, আমরা নাকি ২০টি আসনের মন্ত্রী পদে জোট করেছি। কিন্তু আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এনসিপি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে। কেউ আমাদের সঙ্গে আসতে চাইলে তাকে অবশ্যই সংস্কারপন্থী হতে হবে। যারা সংস্কারে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে বিশ্বাস করে, জুলাই সনদে বিশ্বাস করে, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদের নিয়েই আমরা জোট করব। যারা মহল্লায় চাঁদাবাজিতে লিপ্ত, তাদের সঙ্গে জোট করার চেয়ে মরেই যাওয়া ভালো।
সোমবার (১০নভেম্বর) রাত ৮টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিএনপি অনেক কষ্টে দলটি টিকিয়ে রেখেছে। তাদের অনেক নেতা-কর্মী নিজ দলের নেতাদের কারণে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। তারা অনেক সময় আমাদের বলেন, তোমরা দেশটাকে সঠিক পথে নাও, আমাদের দলটাকে তারা ছিনতাই করে নিয়েছে। আমরা রক্ত ও ঘাম ঝরিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ আছেন, যারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত নন তাদের আমরা আমাদের দলে নিতে চাই। যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, তারা কখনও চাঁদাবাজি করতে পারে না।
নিজ দল সম্পর্কে তিনি জানান, অনেকে এখন চায়ের দোকানে বসে হাসাহাসি করে বলে, এনসিপি করছে, ভোটের পর আর খবর থাকবে না। আমি তাদের বলতে চাই ভালো কাজ সবসময় অল্প মানুষ দিয়েই শুরু হয়। সমাজে যারা সংখ্যায় বেশি, তারাই কল্যাণকামী এ ধারণা ভুল। কল্যাণকামী মানুষ সবসময় সংখ্যায় কম থাকে। হাসিনার আমলেও যারা সংগ্রাম করেছে, তাদের সংখ্যা ছিল খুবই কম।
বিজ্ঞাপন
নিজ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনাদের মধ্যে অনেকে কোরাম করছেন কিসের কোরাম করছেন? আজকের উপস্থিতিতে দেখা গেল, জেলার ৮টি উপজেলায় যে পরিমাণ জনপ্রতিনিধি দরকার, তার অর্ধেকও আসেননি। তাহলে কাজ করবেন কীভাবে? কোরাম করা লোক আমাদের দরকার নেই। ভালো ১০ জন দিয়েই এনসিপির কমিটি হবে।
অরিও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আর বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ভালো নির্বাচন হবে। তবে অনেকে ব্যালটের বদলে বুলেট বেছে নিয়েছে। তারা মনে করছে, বুলেটের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনে ঠেলে দেবে। ইতোমধ্যে এনসিপি সম্পর্কে তারা ঘরে ঘরে গিয়ে বলছে যদি এনসিপিতে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচনের পর খবর আছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যারা ভয় পায়, তারাই মানুষকে ভয় দেখায়। যারা ভয় দেখায়, তারা নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে আছে। সাহসী মানুষ কখনও ভয় দেখায় না, তারা জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে।








