চাকিরপশার বিলের জলে দেখা দিচ্ছে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা

চাকিরপশার বিল সবুজে মোড়া,নীল জলে ভরা এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য। মৌসুম বদলের সাথে সাথে এই বিলের রূপও পাল্টে যায়। বর্ষায় বিলজুড়ে জলরাশির বিস্তার, শীতের আগমনে উন্মুক্ত মাঠে পরিণত হওয়া—প্রকৃতির এমন রূপসী খেলা প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করছে স্থানীয় ও বাইরের দর্শনার্থীদের।
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় প্রশাসন এই বিলকে ঘিরে গড়ে তুলতে চায় একটি টেকসই ইকো-ট্যুরিজম বা প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র। এরই মধ্যে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিভিন্ন সম্ভাব্য উন্নয়ন পরিকল্পনাও তৈরি করা হচ্ছে।
প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা চাকিরপশার বিলের চারপাশে গড়ে উঠেছে নানান গাছপালা, মাছ ধরার ঘাট ও পাখির অভয়ারণ্য। শীতকালে হাজারো অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে পুরো এলাকা। ভোরবেলা কুয়াশা মাখা জলের উপর সূর্যের আলো যখন পড়ে, তখন বিলটি যেন রূপ নেয় এক অপূর্ব ছবির মতো। স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা এখন বিলের পাশে তৈরি করেছে নৌকা ভ্রমণ ও গ্রামীণ খাবারের ছোট ছোট স্টল। এর ফলে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, তেমনি পর্যটকরাও পাচ্ছেন গ্রামীণ জীবনের স্বাদ।
বিজ্ঞাপন
প্রশাসনের পরিকল্পনা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান জানান, চাকিরপশার বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। আমরা চাই না এটি অযথা বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক, বরং স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে একটি পরিবেশবান্ধব পর্যটন কাঠামো তৈরি করতে চাই।”
স্থানীয়রা চাকিরপশার গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,আগে বিল মানেই শুধু মাছ ধরা। এখন মানুষ আসে ঘুরতে, ছবি তুলতে, নৌকা চালাতে। যদি সরকার ঠিকভাবে উন্নয়ন করে, তাহলে আমাদের জীবনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের মাতে, চাকিরপশার বিল শুধু একটি প্রাকৃতিক জলাশয় নয়, এটি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়স্থল। তাই পর্যটন উন্নয়নের পাশাপাশি সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি। তারা পরামর্শ দিয়েছেন ,প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় যেন বিলের পানি প্রবাহ, মাছের প্রজনন ক্ষেত্র এবং অতিথি পাখিদের আবাসস্থল কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।








