ধানে বিষ স্প্রে করে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি: পীরগঞ্জে প্রধান আসামি গ্রেফতার

পীরগঞ্জে আবারও একই কৃষকের উঠতি ফসল ৬ বিঘা (৩ একর) জমির আমন ধানে বিষাক্ত ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয়ায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার রায়তি সাদুল্লাপুর ও পালানু সাহাপুরে ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মামলায় পুলিশ প্রধান আসামি হায়দার আলীকে (৫০) গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রুহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
মামলা ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের হরিরাম সাহাপুরের কৃষক রুহুল আমিন পার্শ্ববর্তী রায়তি সাদুল্লাপুর ও পালানু সাহাপুর গ্রামে একত্রে ৬ বিঘা (৩ একর) জমিতে আমন ধান চাষ করেন।
ধানগুলো প্রায় কাটার উপযোগী হয়ে আসছে। ওই কৃষকের সাথে বিরোধ থাকায় গত ৭ নভেম্বর রাতে পালানু সাহাপুরের হায়দার আলী (৫০), তার দুই ছেলে মামুন মিয়া (২০) ও মাসুদ মিয়া (১৮) সহ কয়েকজন জমিতে বিষাক্ত ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও কমছে রাতে
এ সময় কয়েকজন স্বাক্ষী উল্লেখিতদেরকে চিনে ফেলে। ঘটনা প্রকাশ করলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। ওই ঘটনায় কৃষক রুহুল আমিন উল্লেখিদেরকে আসামি করে মামলা করেছেন। এর আগেও ওই ব্যক্তিরা দুই বার উল্লেখিত কৃষকের জমির ধান কর্তন এবং পুড়িয়ে দেয়।
একপর্যায়ে গ্রাম্য শালিসে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে হায়দার আলী তার দোষ স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে পার পায়। আবারও হায়দারের নেতৃত্বে দান পোড়ানো হলো।
বিজ্ঞাপন
মামলার বাদী রুহুল আমিন বলেন, গত ২ বছর ধরে চিহ্নিতরা আমার উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করায় আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এক বছরের আবাদ আমার নষ্ট হলো।
তিনি আরও বলেন, প্রধান আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করায় তার বড় ছেলে মামুন মিয়া আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি একন নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার পর এক আসামি গ্রেফতার হয়েছে। অন্যান্য আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।








