মমেক হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক হলেন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: বিল্লাল হোসেন

ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেফ্রোলজি (কিডনি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন অভিজ্ঞ, দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক ডাঃ মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
গত ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা অফিসিয়াল স্মারকের ভিত্তিতে তাকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তার এই উন্নতি নিয়ে হাসপাতালজুড়ে আনন্দের পাশাপাশি ব্যক্তিগত, সামাজিক ও এলাকাবাসীর মধ্যেও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
চিকিৎসা অঙ্গনে তার অবদান
দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি(কিডনী) বিভাগে নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার সাথে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন ডাঃ বিল্লাল। কিডনি রোগে আক্রান্ত জটিল ও গুরুতর রোগীদের সেবা প্রদানে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। রোগীদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার, সঠিক রোগ নির্ণয় এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা তাকে সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন করে তুলেছে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালের সহকর্মীরা জানান, দায়িত্বশীলতা, কর্মঠ মনোভাব এবং বিভাগ পরিচালনায় তার দক্ষতা অতুলনীয়। রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ এবং যে কোনো রোগীর প্রয়োজনে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ তাকে হাসপাতালের অন্যতম সেরা চিকিৎসকের মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পেট্রোল বোমাসহ দুই যুবক গ্রেফতার
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কান্দানিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান ডাঃ বিল্লালকে নিয়ে এলাকাবাসীর গর্বের শেষ নেই। এলাকার মানুষ মনে করেন, তিনি শুধু একজন চিকিৎসক নন; তিনি একজন মানবিক, উদার এবং দয়ালু মানুষ। দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের নিয়মিত সাধ্যমতো সাহায্য করেন তিনি। চিকিৎসার পাশাপাশি মানবিক সেবার কারণে এলাকাজুড়ে তিনি ‘ভরসার মানুষ’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় সাংবাদিক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন,ডাঃ বিল্লাল শুধু একজন দক্ষ চিকিৎসকই নন, তিনি একজন ভালো মানুষ। বহু রোগীকে তিনি নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেছেন। তার পদোন্নতি আমাদের পুরো এলাকার গর্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হক বলেন, আমার আত্মীয় চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তা সত্যিই বিরল। রোগীদের সাথে যে মমতা ও ধৈর্যের সাথে কথা বলেন এটাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ‘নদীভাঙ্গা নোয়াখালী হবে সিঙ্গাপুর’
পদোন্নতি সম্পর্কে ডাঃমোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন,আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই পদোন্নতি আমাকে আরও দায়িত্ববান করে তুলবে। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে, ভবিষ্যতেও সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া আমাকে সবসময় শক্তি জুগিয়েছে।
ডাঃ বিল্লালের পদোন্নতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালে সহকর্মীরা অভিনন্দন জানান। নেফ্রোলজি বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা তার এই অর্জনকে বিভাগের জন্য একটি সৌভাগ্য বলে অভিহিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিবেদন, নৈতিকতা ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ডাঃ বিল্লাল হোসেন। তার পদোন্নতি শুধু পেশাগত অর্জন নয়, বরং ময়মনসিংহসহ ফুলবাড়ীয়া উপজেলার মানুষের জন্যও একটি গর্বের বিষয়। তার এই অগ্রযাত্রা আগামীতে দেশের চিকিৎসা সেবাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশাই সবার।








