মৌলভীবাজারে বালু উত্তোলনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে শাহপুর ব্রিজ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের শাহপুর ব্রিজ সহ একাধিক ব্রিজের নিচ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের শিথিলতায় পাহাড় থেকে নেমে আসা ছড়া থেকে দীর্ঘদিন যাবত বালু উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র।
বিজ্ঞাপন
ব্রিজের নিচ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও চক্রটি প্রতিদিন শতশত ফুট বালু উত্তোলনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে শাহপুর ব্রিজ। ব্রিজটি যদি কখনো দুর্ঘটনার শিকার হয় তাহলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
দুর্ভোগের মুখে পড়তে পারেন হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন চালক। এমন কী মৌলভীবাজার জেলার সঙ্গেযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গিয়াসনগর বাজার থেকে কিছুটা দূরে ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বালু। এমন কী সড়কের পাশের কয়েকটি বাড়িতেও দেখা গেছে বালুর স্তূপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্রমিকরা ভোরে এবং দুপুরে কয়েক ঘন্টাব্যাপী বালু উত্তোলন কাজ করে থাকেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বিগত ১৪ থেকে ১৫ বছর যাবত শাহপুর গ্রামের ইছাক মিয়ার ছেলে আকাম মিয়া, আলতাফ মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া, মন্তব উল্লাহ্ ছেলে মানিক মিয়া ও একই গ্রামের মনা মিয়া মিলে ৪ জনের চক্রটি শাহপুর ব্রিজের নিজ থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। প্রতিদিন ১৫০ থেকে অন্তত ২০০ ফুট বালু উত্তোলন করা হয়। উত্তোলন করা বালু ট্রাক ও পিকআপে করে ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন প্রকাশ্যে করলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেননা। কেউ বাঁধা দিলেও তারা বাঁধা মানেনি। তাছাড়া প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ বলেন, ব্রিজের নিচ থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজিব হোসেন বলেন, ব্রিজ এর নিচ থেকে বালু উত্তোলন করার বিষয়টি জানা নেই।








