চন্দ্রঘোনা ফেরীঘাটে যান চলাচলে দুর্ভোগ

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা এলাকা কর্ণফুলী নদীতে পানির প্রবাহ হঠাৎ কমে যাওয়ায় চন্দ্রঘোনা ফেরীঘাটে ফেরীর পাটাতন স্বাভাবিক স্তর থেকে নেমে গেছে।
বিজ্ঞাপন
এতে ফেরীতে যানবাহন উঠা–নামা ব্যাপকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বান্দরবান–রাঙ্গামাটি–রাজস্থলী সড়কে চলাচলকারী বাস, ট্রাক ও পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহন চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার বিকেল চারটায় রাইখালী, পানি কমে যাওয়ায় ফেরীঘাটের পাটাতন নদীর তলদেশের সঙ্গে প্রায় লেপ্টে গেছে। কোনো কোনো সময় ছোট যানবাহন ফেরীতে উঠতে হেল্পারদের কাঠের তক্তা বিছিয়ে অস্থায়ী র্যাম্প তৈরি করতে দেখা যায়। এতে সময় লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি।
বিজ্ঞাপন
চালক ও যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ফেরীঘাটের এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। পানি কমে গেলে ফেরীর পাটাতন নিচে নেমে যায় এবং উঠানামা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের, নষ্ট হয় পরিবহন–পণ্যবাহী ট্রাকের মূল্যবান সময়।
স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় এ সমস্যা আরও প্রকট রূপ নিয়েছে। নিয়মিত ড্রেজিং এবং ফেরীঘাটে আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত না করলে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়।
চন্দ্রঘোনা–রাইখালী রুটটি বান্দরবান–রাঙ্গামাটি–রাজস্থলী অঞ্চলের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক। এ রুটে ফেরী চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে পুরো অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়।








