ফুটপাতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

শীতে আগমনে বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে চল্লিশোর্ধ হালিমা বেগম।সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড সংলগ্ন কাচপুর এলাকায় তিনি বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি করছেন। যদিও শহরে এখনো শীতের আমেজ তেমন একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে শহরে পুরোপুরিভাবে শীত না পড়লেও ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিকাল হতেই ফুটপাতের এসব দোকানগুলোতে ভিড় করছেন পিঠা প্রেমীরা। সিরিয়াল দিয়ে পিঠা খাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। আবার অনেককেই এসব দোকান থেকে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য বাসায় পিঠা নিয়ে যেতেও দেখা যায়। সম্প্রতি সিদ্ধিরগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সড়কের পাশের ফুটপাত গুলোয় বিকাল- সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে চিতই ও ভাপা পিঠা। পিঠা কেনার জন্য রীতিমত সিরিয়ালে দাড়াতে হচ্ছে ক্রেতাদের। চিতই পিঠার সঙ্গে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হয় সরিষা বাটা, ধনিয়া পাতা বাটা, রাই বাট, মাংস কিংবা ভুড়ি ভুনা। প্রতিটি চিতই পিঠা ১০ ও ভাপা পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে এই দোকানগুলোতে।
বিজ্ঞাপন
পিঠা কিনতে আসা রাম কানাই শীল (রাজু) জানান, ‘শীতের সময় পিঠার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। গরম গরম চিতই পিঠার সঙ্গে বিভিন্ন ভর্তা-মসলা মুখে পানি এনে দেয়। ব্যস্ত জীবনে বাসায় পিঠা বানানোর সময় না থাকায় তাই দোকান থেকে বাসায় পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা শুভ বলেন, ‘শীত আর পিঠা কেমন যেন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। ছোট বেলায় মা পিঠা বানিয়ে দিতো আর সন্ধ্যার সময় স্কুল থেকে পাওয়া নতুন বই নিয়ে পড়তে পড়তে পিঠা খেতাম। সেগুলো স্মৃতি হলেও শীত আসলে পিঠা খেতেই হবে। তাই ফুটপাতের দোকানে আসা পিঠা খাওয়ার জন্য।’
বিজ্ঞাপন
বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে আসা সাব্বির বলেন, ‘শীত আসলে প্রায়দিন সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে চলে আসি। এটা একটা আলাদা আনন্দ।’
পিঠা বিক্রেতা হালিমা (৪৫)বলেন, ‘চালের গুঁড়া দিয়ে চিতই ও ভাপা পিঠা বানাই।চিতই পিঠার সাথে শুটকি ভর্তা,সরষে ভর্তা দেয়া হয়।তা ছাড়া মুরগি ও হাসের ডিম দিয়েও পিঠা বানানো হয়। পিঠার মান ও বেচাকেনা ভালো হওয়ায় সিরিয়াল দিয়ে সবাই পিঠা খায়।বিকাল -সন্ধ্যা থেকে রাত ১১/১২ টা পর্যন্ত প্রায় ২০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করি আমি।








