কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন চাইলেন জাহাঙ্গীর মোল্লা

কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন চেয়েছেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটির মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি’র ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে তাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা শহরের হোটেল শেরাটন কনফারেন্স রুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, গত ৩ নভেম্বর দলের প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
এরপর গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি ঢাকায় আসেন। ৬দিন বিশ্রামের পর গত ১২ নভেম্বর করিমগঞ্জের নিজ বাড়িতে আসেন। তিনদিন রাত্রিযাপন করে আবার ঢাকায় চলে যান। বাড়িতে বসেই উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাত দেওয়ার সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা নেতাকর্মীরা উনার শারীরিক, মানসিক ও স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা দেখে দারুনভাবে হতাশ হন। সাক্ষাত পাওয়া নেতাকর্মীদের ধারণা, ড. এম ওসমান ফারুক চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বা গণসংযোগ করার সময়ে বিভিন্ন রকম শারীরিক ও মানসিক ত্রুটি-বিচ্যুতি জনসম্মুখে উন্মোচিত হলে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দলের প্রার্থীদের প্রচারণার কারণে বিএনপি’র প্রার্থীর ভোট দিন দিন ব্যাপকহারে কমে যাবে। পরিণতিতে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরাজয় অবধারিত হবে।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা আরও বলেন, দীর্ঘ এক মাস ১০দিন হলো প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ড. এম ওসমান ফারুক সাহেব মাত্র ছয়দিন অবস্থান করে সেই যে এলাকা ছেড়ে গেলেন, অদ্যাবধি উনার কোন রাজনৈতিক তৎপরতা জনস্মুখে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে করে নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। ফলে সর্বত্রই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা নিজের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পক্ষে নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফীউজ্জামান শফী এবং করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।








