স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে ফোন করে লাশ নিয়ে যেতে বললেন স্বামী

গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে মান্তুরা আক্তার সুমা (২৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গাজীপুরের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রমিজ আলী ভিলার তৃতীয় তলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত মান্তুরা আক্তার সুমা ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার পূর্ব নড়াইল এলাকার বাসিন্দা মিরাজুল ইসলামের মেয়ে। তিনি চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ‘ইউরো’ নামের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত স্বামী জালাল উদ্দিন দুলু (৩০) রংপুর জেলার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মান্তুরা আক্তার সুমা তার স্বামী জালাল উদ্দিন দুলুর সঙ্গে উক্ত ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কারখানার ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরে রান্নাবান্না করেন সুমা। ওইদিন রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তার স্বামী বাসায় ফেরেন। রাতের কোনো এক সময় তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জালাল উদ্দিন দুলু তার শ্বশুরকে মোবাইল ফোনে কল করে জানান যে, তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এবং লাশ নিয়ে যেতে বলেন। খবর পেয়ে নিহতের বাবা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৮
খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে কক্ষের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।








