যশোরে তক্ষক পাচারকালে আটক ২

যশোরের মণিরামপুরে বিপন্ন বন্যপ্রাণী তক্ষক পাচারের দায়ে দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌরশহরের নেহালপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন মণিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মাহির দায়ান আমিন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)-এর দাখিলকৃত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযানকালে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর তফশিলভুক্ত সংরক্ষিত প্রাণী তক্ষক অবৈধভাবে ধরা এবং বিক্রয় ও পাচারের চেষ্টার প্রমাণ পাওয়া যায়। অপরাধ স্বীকার করায় সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুযায়ী আটককৃত দুই ব্যক্তিকে ৫ (পাঁচ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানস্থল থেকে প্রায় ১৩ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের একটি জ্যান্ত তক্ষক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত তক্ষকটি বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে একটি নিরাপদ প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানানো হয়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী তক্ষক একটি সংরক্ষিত প্রাণী। চিকিৎসাশাস্ত্রে তক্ষকের কোনো বৈজ্ঞানিক উপকারিতা প্রমাণিত না থাকলেও এক শ্রেণির মানুষ গুজব ও লোভের বশবর্তী হয়ে পাচারে জড়িয়ে পড়ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহির দায়ান আমিন জানান, তক্ষক ধরা বা বাণিজ্যিক বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনের ৩৯ ধারা অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।







