ড্যাফোডিল-সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ: এখনো থমথমে পরিবেশ

ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শুরু হওয়া সংঘর্ষ থেমে গেলেও এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষে আহত অনেক শিক্ষার্থী আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। আতঙ্কে হল ছেড়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরাও।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা সকালে সিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অফিসের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে গেছে। ক্যান্টিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করছে, ড্যাফোডিলের ভিসি সরাসরি এসে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেবেন। প্রশাসনিকভাবে আমরা সমাধান চাই, আপাতত মামলার পথে যেতে চাই না। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুপুরের দিকে জানা যায়, সংঘর্ষের শুরু হয়েছিল রবিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায়, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির কারণে। প্রাথমিকভাবে কথাকাটাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাত ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ১৫টি গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাঁচের জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে।
সংঘর্ষের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর রয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছে।








