Logo

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ও র‍্যাগিং: ৬ শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে বহিষ্কার

profile picture
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৬:১৪
24Shares
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ও র‍্যাগিং: ৬ শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার শিক্ষার্থী এবং র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় আরও পাঁচজনকে এক সেমিস্টার (৬ মাস) করে বহিষ্কার এবং ১২ শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এসব দণ্ড দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুল্লাহ।

ধর্ষণের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কৃত চারজন হলেন– আইন বিভাগের ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দেলোয়ার ভূঁইয়া, তাজুল ইসলাম তাজ, শ্রাবণ সাহা এবং ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অন্তু দেওয়ান।

বিজ্ঞাপন

র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন– আইন বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অন্তু দেওয়ান ও তরিকুল ইসলাম।

এক সেমিস্টার (৬ মাস) করে বহিষ্কৃত পাঁচজন হলেন– আইন বিভাগের ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম, নাইম, মেহেদী হাসান, ৩২তম ব্যাচের সাজ্জাদ বাবর ও ২৮তম ব্যাচের মেহেদী হাসান।

বিজ্ঞাপন

র‍্যাগিংয়ের সময় উপস্থিত থাকায় ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে ১২ জনকে।

তারা হলেন– আসিফ রহমান লাবিব, লতিফুল হক লোবান, সামিউল ইসলাম, আলিমুল ইসলাম নাহিদ, মোহাম্মদ ওয়ালিদ প্রধান, আসাদুর, শ্রাবণ সাহা, দেলোয়ার ভূঁইয়া, ইমামুল মোরসালিন, কাজল, খন্দকার জিহাদ হাসান ও আইয়াজ হক।

এর আগে, গত ২৪ নভেম্বর মধ্যরাতে আশুলিয়ার নলাম এলাকার একটি মেসবাসায় ডেকে নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শের আলীকে (৩৩ ব্যাচ) র‌্যাগিং এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

এর জেরে ২৬ নভেম্বর আটজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। এছাড়াও গত ২ ডিসেম্বর রাতে আশুলিয়া থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন এক নারী শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় জড়িত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চার শিক্ষার্থীকে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এসব ঘটনার জেরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সকালেই ধর্ষণে জড়িত চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপরও বিক্ষোভ চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

একপর্যায়ে ধর্ষণে অভিযুক্তদের পক্ষে ভূমিকা রাখায় আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেনকে অবরুদ্ধ করেন তারা।

এছাড়াও ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও আইন বিভাগের সভাপতি রফিকুল আলম, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক নিলুফার সুলতানা ও লিমন হোসেনসহ তিন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

একপর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) নেতৃবৃন্দ এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) নেতৃবৃন্দসহ জরুরি সভা করা হয়। দীর্ঘ বৈঠক শেষে রাত ৮টার দিকে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুল্লাহ বলেন, অভিযোগ ও তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

জেবি/এসএ
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD